গৌরনদীতে শিশুর যৌনাঙ্গ ঝলসে দেওয়ার অভিযোগে মামি গ্রেফতার
জেলা প্রতিনিধিঃ বরিশালের গৌরনদীতে নানা বাড়িতে আশ্রিত থাকা এলমা নামের ৫ বছরের এক কন্যা শিশুর যৌনাঙ্গ গরম খুন্তি দিয়ে ঝলসে দিয়েছে বলে মামি শাহনাজ বেগমের (৩৪) বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ শাহনাজ বেগমকে গ্রেফতার করেছে। সে উত্তর বিজয়পুর গ্রামের রমজান সরদারের স্ত্রী।
দুই শিশুর মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মম পৈশাচিক ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে দগ্ধ শিশুটিকে নিয়ে পলাতক রয়েছে ওই পরিবার। শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটলেও প্রকাশ পেয়েছে গতকাল বুধবার। শিশুর বাবা সফিকুল ইসলাম বুধবার সন্ধ্যায় শাহনাজ বেগমকে অভিযুক্ত করে গৌরনদী মডেল থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ উপজেলার কলাবাড়ীয়া গ্রামে শিশুটিকে নিয়ে আত্মগোপনে থাকা নারী শাহনাজ বেগমকে গ্রেফতার করে এবং আহত শিশুটিকে উদ্ধার করেছে।
তিন বছর পূর্বে শিশুর বাবাকে ডিভোর্স দেয় শিশুটির মা আখি আক্তার। এরপর থেকে নানা বাড়িতে মায়ের সাথে বসবাস করে আসছে। শিশুটির বাবার নাম সফিকুল ইসলাম। সে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে উপজেলার গোবর্দ্ধন গ্রামে বাস করেন।
শিশুর বাবা সফিকুল ইসলাম জানান, প্রতি সোমবার মেয়েটিকে কিছু শুকনো খাবার আর টাকা দিতাম। গত সোমবার শীতের কাপড় ও কিছু খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম ওই বাড়িতে। গিয়ে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। পাশের ঘরের একজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- গত শনিবার বিকেলে শিশুটিকে গ্যাসের চুলায় খুন্তি গরম করে মাটিতে পাড়িয়ে ধরে লজ্জাস্থানে ছেঁকা দিয়েছে শাহনাজ। এতে শিশুটি গুরুতর জখম হয়েছে। ঘটনার পর ডাক্তার দেখানোর কথা বলে সবাই চলে গেছে এরপর বাড়িতে কেউ আসেনি। আমি শাহনাজের স্বামী রমজানের মোবাইল ফোন দিলে গত দুই তিন দিন সে ফোন ধরে নাই। বুধবার বিকেলে শিশুর মামা রমজান আমাকে ফোন দিয়ে ক্ষমা চাইছে। সে বলছে তার ভালো চিকিৎসা হইতেছে সে ভালো আছে এ সময় আমি মেয়ের সাথে কথা বলতে চাইলে আমার মেয়েকে ফোন দিলে মেয়ে কান্না করছে আর বলছে বাবা আমারে মামি পুড়িয়ে দিয়েছে, আমারে নিয়ে যাও। এরপর তার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে রমজান সরদার বলে শুক্রবার বাড়িতে আসবে সবাই তোমার মেয়ে সেই সময় নিয়ে যাবে বলে ফোনটা কেটে দেয়।
এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শিশুটির মামি শাহনাজ বেগমকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করেন।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক মো. আফজাল হোসেন জানান, সন্ধ্যায় অভিযোগ পাওয়ার পরপরই শিশুটিকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত শাহনাজ বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে শিশু নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে।