ভোলা থেকে তুহিন খন্দকারকে আর্টিকেল নাইনটিন ওয়েব সেমিনারে আমন্ত্রণ

received_368760797522102.jpeg

ভোলা থেকে তুহিন খন্দকারকে আর্টিকেল নাইনটিন ওয়েব সেমিনারে আমন্ত্রণ

বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলা থেকে সাংবাদিক তুহিন খন্দকারকে আর্টিকেল নাইনটিন এর কোভিডকালে জেন্ডার সহিংসতা: ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়’ শীর্ষক ওয়েব সেমিনারে অংশগ্রহণকারী হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নির্যাতিত সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলায় আর্টিকেল নাইনটিন এর আমন্ত্রণ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সাংবাদিক মহল।

আর্টিকেল নাইনটিন এর পাটানো আমন্ত্রণ পত্রটি নিচে তুলে ধরা হলো:

আমন্ত্রণপত্র:
ওয়েবিনারঃ কোভিডকালে জেন্ডার সহিংসতা: ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়

আর্টিকেল নাইনটিন আগামী ২৬ নভেম্বর ২০২০ তারিখ সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ৯টা আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন উপলক্ষে ’কোভিডকালে জেন্ডার সহিংসতা: ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারী হিসাবে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।

বৈশ্বিক মহামারিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সবগুলো দেশের সরকার জনসাধারণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কমাতে লকডাউন ঘোষণা করে। সরকারি এই আদেশ সাধারণ মানুষ মেনেও চলেন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশসহ বাংলাদেশেও এ সময়ে পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনা প্রকোট আকার ধারণ করে। লক্ষণীয়ভাবে বাড়ে বাল্যবিয়ে, ধর্ষণ, হত্যা, গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া ও পুড়িয়ে হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতা। করোনায়, সবাই বাড়িতে বন্দী থাকার কারণে মানসিক চাপ যেমন পারিবারিক কলহ ও সহিংসতা বাড়িয়েছে, তেমনি সামাজিক দুরত্ব (সোশ্যাল ডিসটেনসিং) মানার বাধ্যবাধকতায় এবং পুলিশের অন্যান্য কাজের দায়িত্ব বেড়ে যাওয়ায়, এ বিষয়ে পুলিশী কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়ে। এছাড়া এসব বিষয়ে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিস্ক্রিয়তা নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার ব্যবস্থাকে আগের চেয়ে আরও দুর্বল করে দেয়। করোনাকালীন বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে সহিংসতার শিকার ৯১ ভাগ নারী ও কন্যাশিশু এবং এর ৮৫ ভাগ ক্ষেত্রে নির্যাতনকারী ঘরের মধ্যেই রয়েছে। বলা হচ্ছে, করোনাকালে অর্থনৈতিক অনিরাপত্তা, পেশাগত অনিশ্চয়তা ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মুখোমুখি কার্যক্রম কমে যাওয়াই জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা ও নির্যাতনে বাড়ার অন্যতম কারণ।

আর্টিকেল নাইনটিন মনে করে, কোভিড-১৯-এর এই পরিস্থিতিতে নারী, শিশু, বালক-বালিকা, তৃতীয় লিঙ্গসহ সকলের উপর যে সহিংসতা ও নির্যাতন চলছে তা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক অবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ফলে, সচেতনতামূলক কর্মসূচি, কাউন্সেলিং ও মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার পাশাপাশি নির্যাতনবিরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে আমাদেরই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দৃঢ়, শক্তিশালী ও সমন্বিত নীতিগত সমাধানের প্রক্রিয়া গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

আর্টিকেল নাইনটিন মানবাধিকার সংরক্ষণ, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী একটি প্রতিষ্ঠান। সংস্থাটি বিশ্বাস করে, ‘নিরাপদ ও সুস্থ জীবনযাপন মানুষের মানবিক অধিকার।’ তাই, আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষকে সামনে রেখে সুস্থ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে ’কোভিডকালে জেন্ডার সহিংসতা: ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়’ শীর্ষক একটি ভারচুয়্যাল আলোচনার আয়োজন করেছে আর্টিকেল নাইনটিন। অনুষ্ঠানে আপনার অংশগ্রহণ আমাদের একান্ত কাম্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top