‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত’
অপরাধ প্রতিবেদকঃ ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত’শুরু। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশের ভিত্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য এম আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের তদন্ত কাজ শুরু করা হয় বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্য ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর।
উপাচার্য এম আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি এবং রাষ্ট্রপতির কাছে অসত্য তথ্য প্রদান, শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করে নিজের কন্যা ও জামাতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
অনিয়ম নিয়ে ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন একপেশে ও পক্ষপাতমূলক বলে দাবি করেছেন এম আব্দুস সোবহান। গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন সম্পর্কে নিজের অবস্থান জানাতে রোববার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, যেকোনো আমলযোগ্য অভিযোগের তদন্ত বাঞ্ছনীয়। আমি তদন্তের বিপক্ষে নই। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ যথাযথ হলে তা তদন্তে একশভাগ সম্মত আছি। তবে সেই তদন্ত হতে হবে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বা আইনসিদ্ধভাবে গঠিত পক্ষপাতহীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে। এ বিষয়ে আমি স্পষ্টভাবে গত ৯ সেপ্টেম্বর ইউজিসির চেয়ারম্যানকে পত্র দিয়ে জানিয়েছিলাম।
তবে ইউজিসি ১৯৭৩ সালের অ্যাক্ট অনুযায়ী রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্য ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশের ভিত্তিতে রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ শুরু করা হয়।
অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) জাগো নিউজকে বলেন, ইউজিসি ১৯৭৩ সালের অ্যাক্ট অনুযায়ী ইউজিসি সরকার কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে যেকোনো কাজ করতে পারে। সুতরাং ইউজিসির তদন্ত করার এখতিয়ার সুস্পষ্টভাবে দেয়া হয়েছে। তাই এটি নিয়ে বিতর্ক তোলার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেটি ইউজিসিতে পাঠানোর পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি দীর্ঘ সময় ধরে তদন্ত কাজ শেষ করে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।
ইউজিসির এই সদস্য বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক বা প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ নেই, দীর্ঘ সময় নিয়ে আমরা তদন্ত কাজ শেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। নানাভাবে তথ-উপাত্ত ও যাচাই-বাছাই করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদন মূল্যায়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।