আজ ১১ প্রকৌশলী বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক

PicsArt_10-21-05.46.49.jpg

“মনু নদীর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন” প্রকল্পের চৌত্রিশ কোটি বিয়াল্লিশ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা দায়ের।

আজ দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোঃ সহিদুর রহমান বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় হবিগঞ্জে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় (১) প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল , ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিগমা ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেড,

(২) প্রকৌশলী সৈয়দ আরশেদ রেজা , চেয়ারম্যান, সিগমা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড,

(৩) প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সালাম , জেনারেল ম্যানেজার, সিগমা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড,

(৪) এস এম শহিদুল ইসলাম , সাবেক তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক, মৌলভীবাজার পওর সার্কেল, বাপাউবো, মৌলভীবাজার, বর্তমানে তত্তবধায়ক প্রকৌশলী, পাবনা পওর সার্কেল, পাবনা,

(৫) মোঃ আনিছুর রহমান (৫৫), সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী, মৌলভীবাজার যান্ত্রিক পওর বিভাগ, বাপাউবো, মৌলভীবাজার, বর্তমানে- নির্বাহী প্রকৌশলী, ঢাকা যান্ত্রিক (পাম্প হাউস) বিভাগ, শিমরাইল, নারায়ণগঞ্জ,

(৬) মোঃ আবু তালেব (৫৪), সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক), কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা বিভাগ, যাস, বাপাউবো, ঢাকা, বর্তমানে তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী, কেন্দ্রীয় যান্ত্রিক সার্কেল, তেজগাঁও, ঢাকা;

(৭) এম গোলাম সরওয়ার (৫৮), সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক), ঢাকা যান্ত্রিক (পাম্প হাউজ) বিভাগ, বাপাউবো, শিমরাইল, নারায়ণগঞ্জ, বর্তমানে তত্তবধায়ক প্রকৌশলী, ড্রেজার অপারেশন সার্কেল, লবনচুরা, খুলনা; পিতা- মরহুম হাজী আঃ রশীদ হাওলাদার,

(৮) মোহাম্মদ আব্বাছ আলী (৪৩), নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক), নকশা সার্কেল-৩ (যান্ত্রিক), বাপাউবো, ঢাকা,

(৯) মো: আব্দুল বাছিত (৫৪), সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর), ডিজাইন সার্কেল-৬, বাপাউবো, ৭২, গ্রীণ রোড, ঢাকা; বর্তমানে তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী, ডিজাইন সার্কেল-১, বাপাউবো

এবং (১০) মোঃ রুহুল আমিন (৩৪), সাবেক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব), চাঁদপুর যান্ত্রিক উপ-বিভাগ (বিদ্যুৎ), বাপাউবো, চাঁদপুর,

(১১) চৌধুরী নজমুল আলম , সাবেক তত্তবধায়ক প্রকৌশলী, যাস পরিচালন (পূর্ব) সার্কেল, বাপাউবো, তেজগাঁও, ঢাকা; বর্তমানে প্রধান প্রকৌশলী, যান্ত্রিক সরঞ্জাম, বাপাউবো, তেজগাঁও, ঢাকা।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিগণ অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের সহায়তায় অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অবৈধভাবে নিজেরা লাভবান হয়ে “মনু নদীর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন” প্রকল্পের জন্য প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে পাম্প ক্রয় করে সরকারের ৩৪,৪২,১৭,১৯৬/২০ (চৌত্রিশ কোটি বিয়াল্লিশ লক্ষ সতের হাজার একশত ছিয়ানব্বই টাকা বিশ পয়সা) টাকা ক্ষতিসাধনপূর্বক আত্মসাৎ করে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

২০১৯ সালে এই অভিযোগটি অনুসন্ধান শুর করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top