সেই ছাত্রীর শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পায়নি বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের তদন্ত কমিটি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ সেই ছাত্রীর শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি। ধর্ষণ মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন করছেন সেই শিক্ষার্থী।
ডাকসুর সাবেক (ভিপি) নুরুল হক নুর ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাময়িক বহিষ্কৃত আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ছাত্রীর করা ধর্ষণ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে।
প্রতিবেদনে কমিটি জানায়, প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের মতো কোন ঘটনা ঘটেছে কি না সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি তথ্য প্রমাণ পায়নি। এমনকি অভিযোগ কারীনীও এ বিষয়ে কমিটির কাছে কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি।
ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষণ মামলার পর এই তদন্ত কমিটি করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. বিন ইয়ামীন মোল্লা ও সদস্য তারেক রহমান ও রাজিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগকারীনীকে (ছাত্রী) বিভিন্ন মিডিয়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী বলে প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া সাংগঠনিক পরিচয়ের মাধ্যমে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা বলা হচ্ছে। আদতে অভিযোগকারী ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী নন। কখনো তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।
সেখানে আরো বলা হয়, অভিযোগকারী এজাহারে হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেও হাসান আল মামুন সেটি অস্বীকার করেছেন। তবে একই বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল বলে জানিয়েছেন।
নুরুলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর দেখা করার বিষয়ে বলা হয়, অভিযোগকারী এজাহারে ২৪ জুন নুরুল হক নুরের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসার জন্য নীলক্ষেত দেখা করার কথা উল্লেখ করলেও অভিযোগকারীর সঙ্গে নুরের সরাসরি সাক্ষাৎ হয়নি। তবে আনুমানিক মাস তিনেক আগে অভিযোগকারী একবার নুরুল হক নুরের কাছে ফোন করে ঢাকায় এসে দেখা করবেন বলে জানালেও আর দেখা করেননি।
২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালবাগ থানায় হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের সেই ছাত্রী।
ওই মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- নুরুল হক নূর, নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা, আব্দুল্লাহ হিল বাকী।
এরপর আসামিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন সেই শিক্ষার্থী। টানা অনশনের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।