সেনা সদস্যদের যেকোন প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের নির্দেশ

সেনা সদস্যদের যেকোন প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের নির্দেশ

জেলা প্রতিনিধিঃ সেনা সদস্যদের যেকোন প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের নির্দেশ রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্ত ইউনিটগুলোকে অভিনন্দন জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যেকোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। তিনি কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেন। সেনাপ্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। একই ধারায় ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬টি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে ৩৩ পদাতিক ডিভিশন কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ওই রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এসব কথা বলেন। কুমিল্লা সেনানিবাসের এম.আর চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাপ্রধান উপস্থিত হলে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে প্যারেড কমান্ডার লে. কর্নেল আসিফ আজমিনের নেতৃত্বে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের একটি সম্মিলিত চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাপ্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করেন।

সেনা প্রধান বলেন, সেনাবাহিনীর সকলকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশমাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে নির্দেশনা প্রদান করেন। পরে সেনাপ্রধান রেজিমেন্টাল কালার প্রদান উপলক্ষে একটি সুশৃঙ্খল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা, দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং বিবিধ প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি ইউনিট বা রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৮ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১০ আরই ব্যাটালিয়ন এবং ৫ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে এবং প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top