লালমোহন প্রতিনিধিঃ লালমোহনে জামিনদার পাওনা টাকা চাওয়ায় এলোপাতাড়ি বেদম পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কালমা ইউনিয়নের চর লক্ষী গ্রামের ডাওরী বাজারে ২ অক্টোবর সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
চর লক্ষী গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের টলি চালক আঃ রহমান একই এলাকার কামরুলকে সুসম্পর্ক থাকায় লালমোহন পৌরসভার সাকিব হার্ডওয়্যার থেকে বাকিতে রং কিনে দেয়। উক্ত টাকা কামরুল দেই-দিচ্ছি করে দীর্ঘদিন ধরে ঘুরাইতেছে। টাকা চাইলে আঃ রহমানের ওপর কামরুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ২ অক্টোবর সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে আঃ রহমানকে ডাওরী বাজারে কামরুল ও তসলিমসহ আরো ৩/৪জন মিলে এলোপাতাড়ি মারধোর করে। এসময় আঃ রহমানকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে তার ভাই সিরাজকে হামলাকারীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। মারপিটের সময় হামলাকারীরা ৮৫ হাজার ৫শ টাকা নিয়ে যায়। প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে গুরুতর আহত সিরাজুল ইসলামকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহত ও তার পরিবার ন্যায় বিচার দাবী করেন।
এই বিষয়ে লালমোহন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যাহার মামলা নং ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬।
ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগ পাওয়া যায় ৬ মাস আগে কালমা ইউনিয়ন এর ৮ নং ওয়ার্ডের ভাড়া মটর চালক পিতা সমতুল্য পলাশকে গাজা দিয়ে কামরুলের মোবাইলে ছবি ধারণ করে এবং মারধর করে তার মোটর বাইক নিয়ে যায় 20 হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে পরবর্তীতে টাকা না দিতে পারলে তার বাইকটি লালমোহন নিয়ে বন্ধক রাখে ২০ হাজার টাকা নেয় কামরুল। পড়ে পলাশের শালা দীপক স্থানীয় চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মিয়া কে বিষয়টি জানলে কামরুলের ভাই বাদশাকে বললে বাদশা কিছু টাকার বিনিময় গাড়িটি উদ্ধার করে দেয়।
ঘটনাস্থলে আরো জানা যায় কাচিয়া ইউনিয়ন এর ৮নং ওয়ার্ডের আবাসন প্রকল্পের এর বসতি গিয়াস উদ্দিন নামের এক ভ্যান চালক কে আরো এক বছর আগে ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তির দ্বারা তার চোকির বিছানার নিচে ১০০ গ্রাম গাঁজা দিয়ে অসহায় মানুষটিকে ফাঁসিয়ে দেয় কামরুল। গাজা দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়, ভ্যানচালক গিয়াস উদ্দিনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
সংবাদকর্মীরা আরো কিছু খবর নিয়ে দেখে এই কামরুল সংবাদকর্মীর পরিচয় দিয়ে কোড়াল মারা নতুন বাজারে মঞ্জু নামের এক মোটরসাইকেল চালককের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। বেশ কিছুদিন আগে গোপাল মেম্বারের ভাই গৌতম এর কাছ থেকে চাঁদা চাইলে ডাওরী বাজারের ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনকে জানায়।
লালমোহন কালমা ইউনিয়নে গোপনে তদন্ত করে দেখে যে কামরুল ইসলাম বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন ফাঁদ বানিয়ে বিভিন্ন প্রকার হয়রানি করে এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে এবং তারই চাওয়া চাঁদা না দিলে ওই ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন প্রকার মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এই বিষয়ে কামরুল কে খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং তাঁর মুঠোফোন বন্ধ ছিল।