নিম্নমানের কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি দেওয়া হবে – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম

PicsArt_09-02-06.08.03.jpg

নিম্নমানের কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি দেওয়া হবে – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম

বিশেষ প্রতিবেদকঃ গ্রামীণ, ইউনিয়ন, উপজেলা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার সড়ক টেকসই ভাবে নির্মাণের জন্য ডিজাইন পরিবর্তনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন, এলজিইডি এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বয়ে সভা করেছেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সভাপতিত্বে আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, দেশে এক সময় রাস্তা-ব্রিজ লো কস্টে নির্মান করা হত যার ফলে এসব রাস্তা-ব্রিজ টেকসই হত না। তাই স্থানীয় পর্যায়সহ সকল সড়ক টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য সঠিক প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

এসময় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটকে দিয়ে গ্রামীণ সড়কের ডিজাইন সংশ্লিষ্ট সমীক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে গ্রামীন রাস্তা ১০ ফিট, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১২ ফিট, উপজেলা পর্যায়ে ১৮ থেকে ২০ ফিট এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার জন্য ১৮ থেকে ৩৬ ফিট করার প্রস্তাব করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

তিনি বলেন, দেশের সকল রাস্তা-ব্রিজ নির্মাণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে দেশের উন্নয়নে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি জানান, ক্রমবর্ধমান গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতে দেশের প্রতিটি গ্রাম পর্যন্ত উন্নত সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের বিকল্প নেই।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন নিম্নমানের কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেমন শাস্তি দেওয়া হবে। তেমনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দিগুণ জরিমানার আওতায় আনা হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, অনেক কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভালো কাজ করছেন। কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের চলমান প্রকল্পসমূহ বর্তমান সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ যে বিশেষ অঙ্গীকার, দেশের প্রতিটি গ্রাম পর্যন্ত উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা সে অনুযায়ী কাজ করছে তাঁর মন্ত্রণালয় বলেও জানান তিনি।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামীমা নার্গিস, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top