দুর্নীতির মামলায় এসকে সিনহা সহ ১১ জনের বিচার শুরু

PicsArt_08-18-03.42.11.jpg

দুর্নীতির মামলায় এসকে সিনহা সহ ১১ জনের বিচার শুরু

আদালত প্রতিবেদকঃ সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এসকে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২৫ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।

এ মামলায় গত ১৩ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ তারিখ নির্ধারণ করেন। এদিন মামলার পলাতক আট আসামির মধ্যে চার জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুরের আদেশ দেন।

জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন– ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।

এ মামলায় পলাতক রয়েছেন–সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ তদন্তকালে মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

গত ৫ জানুয়ারি ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের হাজির হতে নির্দেশনা দেন।

গত ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১-এ এই মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৯ ডিসেম্বরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ এ চার্জশিট দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ তৈরি করে তা একই দিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আসামি এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে এসকে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top