রাজধানীর বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি – এমভি ময়ূরের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নগর প্রতিবেদকঃ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় এমভি ময়ূর-২ লঞ্চের মালিকসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) রাতে নৌপুলিশ সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্তও করবে নৌ-পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলো– এমভি ময়ূর- ২-এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ (৩৩), মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা (৬৫), জাকির হোসেন (৩৯), ইঞ্জিন চালক শিপন হাওলাদার (৪৫), চালক শাকিল হোসেন (২৮), সুকানি নাসির মৃধা (৪০) ও সুকানি হৃদয় (২৪)।
নৌ-পুলিশের ঢাকা জোনের পুলিশ সুপার খন্দকার ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘নৌ-পুলিশের জুরিডিকশনে ঘটনা ঘটায় মামলার তদন্ত করবে নৌ-পুলিশ। ইতোমধ্যে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তাদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছে। আমরা তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তাদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছি।’ খুব শিগগির আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
গত সোমবার সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটে আসা মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটিকে পেছন দিক দিয়ে চাপা দেয় এমভি ময়ূর-২। এতে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি তাৎক্ষণিকভাবে ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর ডুবুরিরা যৌথ অভিযান চালিয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত ৩২ জনের লাশ উদ্ধার করে। এছাড়া পানির নিচে ১৩ ঘণ্টা আটকে থাকা অবস্থায় জীবিত একজনকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেও নিখোঁজ ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার ও পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।