ইউএনও করোনায় আক্রান্ত; পুরো জেলা সতর্কতা
জেলা প্রতিনিধিঃ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) তার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই জনসচেতনতায় ব্যাপক কাজ করতে দেখা গেছে ইউএনওকে। চাঁদপুর জেলা লকডাউন ঘোষণার পর হাজীগঞ্জ উপজেলায় জনসচেতনতায় ও লকডাউন কার্যকর করতে দিন-রাত মাঠে কাজ করেছেন তিনি। উপজেলাটি এতদিন করোনামুক্ত ছিল। কিন্তু বুধবার ইউএনও ও ঢাকা ফেরত এক ব্যাংক কর্মকর্তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ‘যেহেতু ইউএনওর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, তাই এখন তিনি সিভিল সার্জনের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন।’
এর আগে ঢাকায় একটি ব্যাংকে কর্মরত এক কর্মকর্তার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তিনি ১৫ দিন আগে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে যান। পরে তার করোনার উপসর্গ দেখা দিলে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনিই হাজীগঞ্জ উপজেলায় প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী। হাজীগঞ্জ উপজলার নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত এই ব্যক্তির রিপোর্ট পাওয়ার পর তিনি বাড়ি লকডাউন করেছেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এস এম শোয়েব আহমেদ চিশতী জানান, ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যাংক কর্মকর্তা বর্তমানে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানিয়েছেন, বুধবার ৩৯ জনের রিপোর্ট এসেছে। এরমধ্যে ৩৭ জনের নেগেটিভ আর দুই জনের পজিটিভ এসেছে। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা থেকে ৩০৪টি নমুনা পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ২৯২টির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। এছাড়া সাত জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।