চাল নিয়ে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে – খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

PicsArt_04-13-06.25.10.jpg

চাল নিয়ে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে – খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

বিশেষ প্রতিবেদকঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া ও কর্মহীন মানুষের জন্য বরাদ্দ ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে কোনও ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘ওএমএস এর চাল কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’

সোমবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। পরে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও এ ব্যাপারে জানানো হয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুঁশিয়ার  করে মন্ত্রী বলেন, ‘ওএমএস এর চাল বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতি করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বরখাস্ত ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে। ইতোমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় হতে এ সংক্রান্ত জিও (অফিস আদেশ) জারি করা হয়েছে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশও করোনাভাইরাস-জনিত প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করছে। প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা মোতাবেক আমরা সবাই একযোগে কাজ করছি।’ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয় হতে জারি করা এক অফিস আদেশে  উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে শহর ও গ্রামে বিপুল সংখ্যক মানুষের আয়-রোজগারের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাদ্য সহায়তা হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয় ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে চাল বিতরণ করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিষয়টির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছেন। কিন্তু পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা যায়, কিছু কিছু জায়গায় ওএমএস এর চাল কালোবাজারি হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি স্থানে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনিয়মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করাসহ তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে  সুনিদিষ্ট তথ্য প্রমাণসহ প্রতিবেদন তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top