নতুন চিন্তা নতুন ধারার অনন্য প্রকাশ –
শাহানা সিরাজী
সমাজ পরিবর্তনে সাহিত্য আলোকরশ্মির মতো কাজ করে। সূর্যালোক যেমন ধরা যায় না কেবল অনুভব করা যায় তেমনি সাহিত্য মানুষের মনোজগতে বিপ্লব ঘটায়। এ বিপ্লব কী ভাবে ঘটে মানুষ নিজেই বলতে পারে না! সময়ের সাথে সাথে বদলায় মানুষের চাহিদা-প্রকরণ- দৃষ্টিভঙ্গি।
এক সময় ছিলো দাসপ্রথা; এখন তা নেই। সাদা-কালো বর্ণবৈষম্য, জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশান এসব এখনো থাকলেও আদি কিংবা মধ্যযুগের মতো নেই।
রাজনৈতিক দর্শন ও সাহিত্য দ্বারা প্রভাবিত হয়। আবার সাহিত্যও ধর্ম- দর্শন-সামাজিক-রাজনৈতিক চিন্তা ধারায় প্রভাবিত হয়।
সামাজিক পরিবর্তন, ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তনে সাহিত্যই মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করে। মানুষের সাথে মানুষের বন্ধন-যোগাযোগ-শিষ্টাচার -মূল্যবোধ সাহিত্যের মাধ্যমেই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে হয়ে আসছে।
মানুষের আবেগ- প্রেম, বিরহ সাহিত্যের অন্যতম উপাদান। লেখক-কবি কারোরই ব্যক্তিগত চিন্তাধারার বাইরে গিয়ে সৃষ্টি সম্ভব নয়।
মন্ময় সাহিত্য না থাকলে তন্ময় সাহিত্য আসতো কোথা থেকে! এ দুটো ধারাই মানুষকে যুগ থেকে যুগান্তরে পৌঁছে দেয়। মানুষের ব্যক্তিগত অনুভূতি আর স্থান-কাল-পাত্র মিলেই সৃষ্টি হয় কালজয়ী অমর শিল্পকর্ম।
মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের নানান উপাদান সাহিত্যের উপাচার হলেও মন রয়ে যায় অবহেলায়৷ মনে আঘাত পেলে মানুষ কেমন আচরণ করে, কেমন করে নির্দিষ্ট চক্রে আবদ্ধ থাকে, এ সময়ের অনুভূতি প্রকৃতার্থে সকলের অগোচরেই রয়ে যায়। পাগল কিংবা অর্ধ-পাগল খেতাব দিয়ে পরিবার সমাজ খালাস।
কিন্তু মনেরও প্রয়োজন নার্সিং। প্রয়োজন প্রিয়জনদের সাপোর্ট। এমনই এক জটিল উপাখ্যান নিয়ে রচিত হয়েছে ‘রমিজের ২৯ দিন নামক সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার।’
যেখানে রমিজ একটি সময়ের আবর্তে বার বার ঘুরপাক খাচ্ছে। বের হবার নানান চেষ্টাতেও সে ব্যর্থ হচ্ছে। তারপর তার কী হলো জানতে হলে পড়তে হবে ‘রমিজের ২৯ দিন’ বইটি। লেখক এম এ সিরাজী। বর্তমানে মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে গবেষণারত আছেন। এটি তার প্রথম উপন্যাস। এ ছাড়া তিনি গল্প ও কবিতা লেখায় সিদ্ধহস্ত।
বইটির নাম- রমিজের ২৯ দিন
বইটির লেখক-এম এ সিরাজী।
প্রকাশকঃ রিদম প্রকাশনা সংস্থা
একুশে বই মেলায় স্টল নাম্বার ৩৩৯-৩৪০ পাওয়া যাবে। এছাড়াও অনলাইন র্ভাসন ও রকমারি তে ও পাওয়া যায়।
শাহানা সিরাজী
সরকারি চাকুরীজীবি, কবি ও লেখক।
রমিজের ২৯ দিন বইটির লেখক-এম এ সিরাজী’র জননী ।