ভোলায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণ
জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়ন পোস্ট অফিসের পিওনের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মেয়েটিকে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শের আলী পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মেয়েটির বাবা ভোলা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত শের আলী ভোলা সদরের ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তমুন্সি গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। তিনি ইউনিয়ন পোস্ট অফিসের পিওন হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। ঘটনার দিন সোমবার (২০ জানুয়ারি) সে প্রতিদিনের মত বেলা ১১টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ওই সময় স্কুলে যাওয়ার পথে পোস্ট অফিসের পিওন শের আলী তাকে জুস খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে পোস্ট অফিসে নিয়ে যায় এবং জুস খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে।
পরে তার হুঁশ ফিরে এলে তাকে আবার স্কুলে পাঠিয়ে দেয় এবং ঘটনাটি কাউকে জানালে তাকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয় শের আলী। পরে বিকেল ৪টার দিকে স্কুল ছুটির পর মেয়েটি বাড়িতে যাওয়ার সময় পথি মধ্যে কয়েক বার মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তার সঙ্গে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরে তার মা তার গায়ের জামা খুলে দেখে শরীরে আঁচড়ের চিহ্ন। পরে তাকে অনেকবার জিজ্ঞেস করলে সে ধর্ষণের ঘটনা জানায়।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে মেয়ের অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতাল আনার সময় শের আলীর পরিবারের লোকজন তাদেরকে হাসপাতালে আসতে বাধা দেয়। তারা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে মেয়ের চিকিৎসা করানোর কথা বলে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মেয়েকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় তিনি ভোলা মডেল থানায় শের আলীকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেছেন।
ভোলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মেহেদী হাসান ভুইয়া বলেন, মেয়েটির গায়ে আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তাকে হাসপতালে ভর্তি করেছি।
সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স রেখা আক্তার বলেন, আমরা প্রথামিকভাবে পরীক্ষা করে মেয়েটির বুকে আঁচড়ের চিহ্ন ও গোপনাঙ্গে ধর্ষণের আলামত পেয়েছি।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।