প্রত্যেককে সমান গুরুত্ব দিতে হবে – সিইসি কে এম নূরুল হুদা।
স্টাফ রিপোর্টঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, সবাই যদি বলে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন করা যাবে না, তাহলে সেটা করব না।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আয়োজিত ‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০২০ উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহায়ক কর্মকর্তাদের’ দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ইভিএম বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আমরা ইভিএমে টিকে আছি। আপনারা যারা এখানে আছেন, কয়েক বছরে ইভিএমের ওপরে নানাভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, কর্মদক্ষতা অর্জন করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, ইভিএমের মাধ্যমে সহজে এবং নির্বাচনে যারা ভোট দিবে তাদের ভোটাধিকার সফলভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন। এ নিয়ে সন্দেহ আছে? আপনারা যারা মাঠে-ময়দানে দেখবেন, যারা প্রয়োগ করবেন, তাদের কাছে যদি সন্দেহ থাকে আমাদের বলবেন। যদি সবাই বলেন, এটা দিয়ে নির্বাচন ভালোভাবে পরিচালনা করা যায় না, তাহলে আমরা ইভিএম ব্যবহার করব না।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা ইভিএম দিয়ে অনেকগুলো নির্বাচন করলাম। জাতীয় সংসদ নির্বাচন করলাম, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করলাম, সেখানে আমরা সফলতা পেয়েছি। সেখানে আমরা এটা ধরে রেখেছি। কেন ধরে রেখেছি, কারণ আমরা চাই ভোটার যেন তার ভোট দিতে পারে।’
ইভিএম ব্যবহার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এই যে একটা অবস্থানে আপনারা (ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারী) ইভিএমকে নিয়ে এসেছেন, এটা নিয়ে কি আপনাদের কম ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়েছে। কত লোকের আঁকাবাকা, তেড়া কথা শুনতে হয়েছে। আরও শুনতে হবে।’
‘প্রার্থীদের কার কি পরিচয়, কার কি পদ, কার কি বর্ণ, কার কি রঙ, কার কি রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড- যারা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে আছেন, তাদের একেবারেই দেখার বিষয় নয়। প্রত্যেককে সমান গুরুত্ব দিতে হবে, প্রত্যেকের সঙ্গে সমান আচরণ করতে হবে, প্রত্যেকের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডকে মূল্যায়ন করতে হবে’- বলেন নূরুল হুদা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম ও মাহবুব তালুকদার।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।