দুদকের মামলায় সাজার হার প্রায় ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে – দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ

PicsArt_10-20-10.34.54.jpg

দুদকের মামলায় সাজার হার প্রায় ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে – দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

সাগর চৌধুরীঃ দুদক ও সিটিটিসি’র (কাউন্টার টেররিজম ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) উদ্যোগে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সপ্তাহব্যাপী যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দুদক  চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এসব কথা বলেন।

এসময় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি –কমিশনের  সক্ষমতার কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এটা কাটিয়ে উঠার জন্যই  কমিশনে একটি প্রশিক্ষণ অনুবিভাগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এখন দেশে-বিদেশে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ সহ তদন্তের প্রতিটি ধাপে পুলিশের জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ। কমিশনের কর্মকর্তারা যাতে এই জ্ঞান শেয়ার করতে পারেন, তাই পুলিশের সিআইডি, সিটিটিসি সহ অন্যান্য সংস্থার সাথে যৌথভাবে প্রশিক্ষণের আয়োজনও করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, তদন্তের দুর্বলতার কারণেই একসময় কমিশনের মামলায় বিচারিক আদালতে সাজার হার মাত্র ২২ শতাংশে নেমে এসেছিল। সাজার হার বৃদ্ধি পেয়ে  বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, কমিশনকে অনেকেই সমালোচনা করেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। সমালোচনা থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণও করি। দুদক একটি সক্রিয় প্রতিষ্ঠান, তাই এর সমালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সমালোচনা হতে হবে গঠনমূলক এবং বস্তনিষ্ঠ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।

তিনি বলেন দুর্নীতি, জঙ্গি অর্থায়ন, সন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা সব অপরাধই  একই সূত্রে গাঁথা। সিটিটিসি যেভাবে অপরাধ ঘটার আগেই তা থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে , দুদক ঠিক একইভাবে  দুর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিরোধর চেষ্টা করছে। দুর্নীতি ঘটার আগেই যদি তা প্রতিরোধ করা যায়, তাহলে সেটাই-তো উত্তম।

পুলিশের সাথে কমিশনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ঘুষের টাকাসহ ঘুষখোরদের গ্রেফতার করতে  যেভাবে পুরিশ সাহায্য করছে, ঠিক একইভাবে গভীর রাতে দুদকের মামালার আসামিদের গ্রেফতারেও পুলিশ সাহায্য করছে।

তিনি বলেন, আমাদের অনুধাবন করতে হবে, আইন করা হয় তা মান্য করার জন্য , এনফোর্সমেন্ট হচ্ছে সর্বশেষ অস্ত্র। তাই আসুন, আমরা সবাই আইন মানি-তাহলেই সব অপরাধ কমে আসবে।

সিটিটিসি’র প্রধান মোঃ মনিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম ।

উল্লেখ্য কমিশনের উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক ও উপসহকারী পরিচালক পদমর্যাদার ২৫ জন কর্মকর্তা সপ্তাহব্যাপী এ প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top