ঘুষখোরদের কোনো আত্মমর্যাদা থাকে না – দুদক
চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ
সাগর চৌধুরীঃ আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের উপসহকারী পরিচালক থেকে উপপরিচালক পদমর্যাদার ত্রিশজন কর্মকর্তার অফিস শৃঙ্খলা, অফিসের নিরাপত্তা, কাজের গোপনীয়তা এবং অফিসিয়াল আচরণ সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দুদক চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যারা মনে করেন ঘুষ খেলে কেউ জানবে না, তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। এসময় তিনি ঘুষ খাওয়া এবং ভিক্ষাবৃত্তির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে একটি (স্মার্ট) প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হলে কর্মকর্তাদের প্রতিটি কাজ হতে হবে সুনির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, অর্জনযোগ্য, প্রাসঙ্গিক ও সময়াবদ্ধ। এর বিচ্যুতি ঘটলে কমিশনকে যোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা কঠিন। কর্মকর্তাদের কর্মে এ বিষয়গুলোর প্রতিফলন থাকতে হবে। তাই আপনাদের আচার-আচরণ এবং কর্ম সম্পাদনে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্তের তথ্য ব্যবস্থাপনায় এমন কোনো সুযোগ রাখা সমীচীন হবে না, যাতে অপরাধীরা কমিশনের নথির গতিবিধি এবং আগাম তথ্য জানতে পারে। এভাবে কমিশনের তথ্য পাচার অফিস শৃঙ্খলা পরিপন্থি।
তিনি বলেন, নিজে পরিবর্তন না হলে, পরিণত মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করা প্রায় অসম্ভব। তাই প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই নিজেকে নিজেই পরিবর্তন করুন। কমিশনের প্রতিটি কার্যক্রম টিমওয়ার্ক সংশ্লিষ্ট। তাই কর্মকর্তাদের পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে। তবে সবাইকে অফিস ডেকোরামও মানতে হবে। অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা রক্ষা করা অফিসিয়াল আচরণের অন্যতম ভিত্তি।
কর্মশালায় দুদকের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিগন উপস্থিত ছিলেন।