দুই দলই হতাশ; শিরোপা জিতলেও অতৃপ্ত সাকিব-রশিদ

PicsArt_09-25-07.50.03.jpg

দুই দলই হতাশ; শিরোপা জিতলেও অতৃপ্ত সাকিব-রশিদ

ক্রিড়া প্রতিবেদকঃ ট্রফি হাতে থাকলেও পুরোপুরি তৃপ্তি ছিল না সাকিব-রশিদের মনে প্রথম ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি শিরোপা জয়ের হাতছানি ছিল বাংলাদেশের। শিরোপা তারা পেয়েছেও, কিন্তু তৃপ্ত নয়। কারণ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে ফাইনাল, তাতে ট্রফিটা ভাগাভাগি করতে হয়েছে আফগানিস্তানের সঙ্গে। টস করারও সুযোগ দেয়নি বৃষ্টি। খেলা না হওয়ায় হতাশা ঝরলো বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিবক আল হাসানের কণ্ঠে, আফসোস ‍লুকাননি আফগান অধিনায়ক রশিদ খানও।

বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু করে রাত ১১টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হলো মিরপুরের আকাশে। অথচ বেলা চারটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শক থেকে ক্রিকেটার সবাই অপেক্ষায় ছিলেন ম্যাচটি মাঠে গড়ানোর। কিন্তু জয়টা বৃষ্টিরই হলো। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে স্বাগতিক অধিনায়ক সাকিব বলেছেন, ‘আমাদের জন্য ম্যাচটি ছিল হতাশার। আমরা ভালো কয়েকটি ম্যাচ খেলে ফাইনালে এসেছিলাম। আমি মনে করি ফাইনাল খেলতে না পেরে দুই দলই হতাশ।’

সাকিব হতাশ আরও একটি কারণে। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত স্টেডিয়ামে ছিলেন প্রায় ১৫ হাজার দর্শক। তাদের দুঃখটা যেন উপলব্ধি করছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার, ‘দর্শকদের জন্যও দিনটি হতাশার। তারা অনেক আশা নিয়ে ম্যাচটি দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে খেলাই হলো না। আসলে বৃষ্টির ওপর আমাদের কোনও হাত নেই।’ 

সাকিবের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ, ‘দর্শকদের দেখে আমি অভিভূত। আমরা অবশ্যই মাঠে খেলতে চেয়েছিলাম এবং ফল পেতে মুখিয়ে ছিলাম। কিন্তু প্রকৃতির ওপর আমাদের কোনও হাত নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহকে তো সরাসরি প্রশ্নই করা হলো ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর দর্শকদের টিকিটের অর্থ ফেরত দেওয়া উচিত কিনা? জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আসলে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমি সঠিক মানুষ নই। গ্যালারিতে অনেক শিশুকে দেখেছি। অনেকেই পরিবার নিয়ে এসেছে। বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় ছিলেন তারা। তাদের জন্য হলেও ম্যাচটা খেলা দরকার ছিল। আসলে আবহাওয়ার ওপর তো আমাদের কোনও হাত নেই।’

মাহমুদউল্লাহ মনে করেন ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা উচিত ছিল, ‘আসলে রিজার্ভ ডে থাকলে ভালো হতো। সেটা যেহেতু নেই, কিছু তো করার নেই। আমরা প্রত্যেকেই হতাশ ম্যাচটি খেলতে না পেরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top