আজ পবিত্র হজের দিন; লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর আরাফাত ময়দান।

20190810_140832.jpg

আজ পবিত্র হজের দিন; লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর আরাফাত ময়দান।

  
আজ পবিত্র হজের দিন। মহান আল্লাহর কাছে নিজের উপস্থিতির জানান দিয়ে পাপমুক্তির আকুল বাসনায় লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সমবেত হচ্ছেন আরাফাতের ময়দানে।

তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ‘‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়ালমুল্‌ক”ধ্বনি।

যার অর্থ -‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনও শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।’

ইসলামের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের একটি হচ্ছে পবিত্র হজ। ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালনের মধ্যদিয়ে হজ পালন করতে হয়।

এবারের হজে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। এদের বেশির ভাগই সৌদি আরবের বাইরের নাগরিক। হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে আরাফাত ময়দানে অংশগ্রহণ।

শুক্রবার মিনায় রাত্রি যাপনের পর আজ শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকেই আরাফাত ময়দানে জড়ো হতে শুরু করেন মুসল্লিরা। মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে এখানে যেতে হয়। হাজিরা নামিরা মসজিদ থেকে দেওয়া খুতবা শোনার পর জোহর ও আসরের নামাজ একই সঙ্গে সংক্ষিপ্ত ভাবে আদায় করবেন।

তারপর হজ্জ কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া ও কোরান তেলওয়াতের মাধ্যমে সূর্যাস্তের অপেক্ষা করবেন। সূর্যাস্তের পর হাজিরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই আরাফাতের ময়দান থেকে রওনা দেবেন মুজদালিফার দিকে। সেখানে পৌঁছে মাগরিব ও এশার নামাজ এক সঙ্গে আদায় করবেন। খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করবেন হাজিরা। তারপর মিনার জামারায় (প্রতীকী) শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন।

রবিবার (১১ আগস্ট) সকালে ফজরের নামাজ শেষে হাজিরা আবার ফিরে আসবেন মিনায়। জামারাতে পাথর নিক্ষেপ ও পশু কোরবানির পর পুরুষরা মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম ত্যাগ করবেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন হাজিরা। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে যারা আগে মদিনায় যাননি তারা মদিনায় যাবেন। সেখানে হাজিরা সাধারণত ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। পরে শুরু হবে হাজিদের দেশে ফেরার পালা।

মক্কা অঞ্চলের গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল ফয়সাল শুক্রবার (৯ আগস্ট) জানান, হাজিদের সেবা দিতে শত কোটি ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন তারা। মিনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, অতিথিদের স্বস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ ব্যয়ের ব্যাপারে তারা কুণ্ঠিত নন। ফয়সাল আরও জানান, হাজিদের সুরক্ষা নিশ্চিতে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি সামরিক-বেসামরিক সদস্য এবং ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবী মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর ৯ জিলহজ তারিখে মসজিদ আল হারাম-এ পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়। সে রীতি মেনে এরইমধ্যে গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন গিলাফটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৭০ লাখ রিয়াল। বরাবরের মতোই ৬৭০ কেজি রেশমি কাপড়,১২০ কেজি স্বর্ণ ও ১০০ কেজি রুপা দিয়ে তৈরি হয়েছে এটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top