আপনাদের বেতন ও সামাজিক মর্যাদা অবশ্যই বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি – দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
দুদক পি আরঃ আজ যশোর জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা ও মা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিবাবক তথা মা-বাবা, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিসহ সবাইকে একই সুতায় গাঁথতে হবে । তা না হলে টেকসই উন্নয়নে শিক্ষার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হতে পারে।
তিনি বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন যাতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে আনন্দ অনুভব করে। প্রতিদিন তারা যেন বিদ্যালয়ে শিক্ষার পাশাপাশি আনন্দ নিয়ে বাড়ি যেতে পারে। এমন ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের মানসিকতা এমনভাবে বিকশিত করা প্রয়োজন যাতে তারা প্রশংসার আনন্দ উপভোগ করতে পারে। তবেই তাদের কোমল হৃদয়ে শিক্ষার প্রতি তীব্র আকর্ষণ সৃষ্টি হতে পারে। যা শিক্ষা ব্যবস্থায় মৌলিক ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। এটা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা ও উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করা না গেলে অনেক চেষ্টাই ব্যর্থ হতে পারে। মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি বিনির্মার্ণের সূতিকাগার হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা।
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন , জাতি আপনাদের কাছে তাদের সন্তান তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গচ্ছিত রাখে। আপনাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে তাদেরকে ভালো মানুষ তথা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার এ দায়িত্ব হতে হবে নির্মোহ। আপনাদের বেতন ও সামাজিক মর্যাদা অবশ্যই বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি।
তিনি বলেন দুর্নীতি দমন কমিশন ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও শিক্ষার্থীদের মাঝে সততা ও নৈতিকতার চর্চা বিকাশে সততা সংঘ ও সততা স্টোর গঠন করছে। এগুলোকে কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব সকলের। কমিশন শিশু ও কিশোরদের মাঝে সততা ও নৈতিকতা বিকাশেই এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ-এর সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা ও মা সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদের, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া সহ আরও অনেকে।