সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহা কানাডায় গিয়ে আশ্রয় চাইছেন।

PicsArt_07-10-06.43.22.jpg

সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহা কানাডায় গিয়ে আশ্রয় চাইছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।  

সে দেশের সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার (টরন্টো স্টার) জানায়, রাজনীতিক-আমলা-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় বাংলাদেশে তাকে ‘টার্গেট’ বানানো হয়েছে অভিযোগ তুলে তিনি আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন।



তবে কানাডার বাংলাদেশ হাই কমিশন সিনহার অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, আশ্রয় পাওয়ার স্বার্থে বহুদিন থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে আসছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন এস কে সিনহা। নিউ জার্সিতে ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে কেনা একটি বাড়িতেই তিনি থাকছিলেন।

কানাডার দ্য স্টার জানিয়েছে, গত ৪ জুলাই ফোর্ট এরি সীমান্ত হয়ে সিনহা কানাডায় প্রবেশ করেন এবং সেখানে তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জমা দেন।   

এই সপ্তাহে দ্য স্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিনহা বলেছেন, বিচারক হিসেবে আমি অ্যাকটিভিস্টের ভূমিকা নিয়েছিলাম বলেই আমাকে লক্ষ্যবস্তু (টার্গেট) বানানো হয়েছে। আমার দেওয়া রায় আমলা, স্টাবলিশমেন্ট, রাজনীতিক, এমনকী সন্ত্রাসীদের ক্ষোভের কারণ হয়েছিল। আর এখন আমি দেশের শত্রু।

সাক্ষাৎকারে নিজেকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ আখ্যা দিয়েছেন সিনহা। কূটনীতির ভাষায়, কোনও দেশের নাগরিককে যখন ওই দেশের সরকার প্রবেশ নিষিদ্ধ করে তখন তাকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ হিসেবে  বিবেচনা করা হয়।

তখন তারা বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারেন।

কানাডার বাংলাদেশ হাইকমিশন সিনহার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। হাই কমিশনার মিজানুর রহমান দ্য স্টারকে বলেছেন, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে তিনি এসব অসত্য বিবৃতি দিচ্ছেন। দেশে ফিরতে তার কোনও বাধা নেই। কেবল আশ্রয়ের স্বার্থে তিনি এসব কথা বলছেন।  




উল্লেখ্য, চলতি মাসেই সাবেক এই প্রধান বিচারপতিসহ ১০ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন।  
গত বছর তার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top