বিআইডব্লিউটিএ’র চার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া সহ ‘বিআইডব্লিউটিএ’ এর চার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কক্সবাজারে মামলা হয়েছে।
কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী থেকে ড্রেজিং করা বালু তুলে অবৈধভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন ও নদীর জমি ভরাট করার অভিযোগে রবিবার (২১ জুলাই) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন কক্সবাজার শহরের আবু সিদ্দিক ও মোহাম্মদ আজাদুর রহমান নামের দুই ব্যক্তি।
মামলায় অন্য আসামি হলেন— বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাজাহান আলী অভিযোগটি আমলে নিয়ে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক মতামত সহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কক্সবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভুমি) কে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলী।
আদালতে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চার প্রকৌশলী বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাট পয়েন্টে থেকে ড্রেজিং করা বালু তুলে অবৈধভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন ও নদীর জমি দখলের উদ্দেশ্যে ভরাটের কাজ শুরু করে। এমনকি গত ৫ জুলাই সকাল ১০টার দিকে ওই চার প্রকৌশলীর নেতৃত্বে বেশ কিছু সন্ত্রাসী ও তাদের নিয়োজিত কর্মচারী ড্রেজার পাইপের মাধ্যমে বালুর স্তুপ করার জন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন ও ওই নদীর জমি দখলের চেষ্টা করে। তখন বাদী পক্ষের লোকজন তাদের বাধা দেন। ওই সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও সংঘর্ষ হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কক্সবাজারের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মামলাটি কেন ও কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, আমরা এখনও নিশ্চিত না। বিষয়টি এরইমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর নিয়োজিত ঠিকাদারের লোকজন বাঁকখালী নদীতে শক্তিশালী ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলে নদী ও বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে তা ফেলছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, মূলত নদী ও পানি সবই স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী দখল করে রেখেছে।