আমরা সবাই এক সাথে কাজ করতে চাই – সাগর চৌধুরী।

আমরা সবাই এক সাথে কাজ করতে চাই – সাগর চৌধুরী।

ভোলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ সরকারের চারটি স্তম্ভের মধ্যে গণমাধ্যম হলো চতুর্থ তম স্তম্ভ। গণমাধ্যম কে বলা হয় দেশের ওয়াচ ডগ। গণমাধ্যমে যারা কাজ করেন তারাই গণমাধ্যমকর্মী। আর এই গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে আজকে ভোলা জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার ২৬ শে রমজান ভোলা জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির হিসেবে ইফতার আয়োজনে শরিক হওয়ার কথা ছিল ভোলা দুই আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল এর, কিন্তু বিশেষ ব্যস্ততার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি।
ভোলা জেলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী, ভোলা সদর আসনের সংসদ সদস্য, তোফায়েল আহমেদ এর রোগ মুক্তি ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় আজকের ইফতার মাহফিলে।

আজকে ভোলা জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা। এ সময় জেলার গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া, টেলিভিশন মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়ার কর্মীদের ছাঁটাই, চাকরীচ্যুত এবং বেতন ভাতার বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়াসে আলাপ-আলোচনা করা হয়।

ভোলা জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আলামিন শাহরিয়ার সভাপতিত্বে আজকের ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক সহ অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, একুশে টেলিভিশনের শিপন, যমুনা টেলিভিশনের জাকির হোসেন সহ ভোলা জেলার সিনিয়র গণমাধ্যমকর্মীরা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাগর চৌধুরি।

তিনি বলেন, আমি সাগর চৌধুরী, একজন গণমাধ্যমকর্মী। অনলাইন গণমাধ্যমে আমি কাজ করি। নতুন করে অনলাইন সম্পর্কে কিছুই বলার নেই, কারণ আপনারা জানেন, বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব অনলাইন এর সাথে জড়িত।

আমি সেই বাংলাদেশ অনলাইন প্রেস ক্লাবের একজন মেম্বার মাত্র। যেখানে কাজ করে অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল, অনলাইন রেডিও, অনলাইন টেলিভিশন। সেই সাথে আপনারা জানেন যে, সমগ্র পৃথিবীতে যতগুলো পত্রিকা আছে, রেডিও এবং টেলিভিশন আছে প্রত্যেকেরই অনলাইন ভার্সন আছে।

সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশের যতগুলো পত্রিকা, রেডিও এবং টেলিভিশন আছে, প্রত্যেকেরই অনলাইন ভার্সন আছে।

আজকে আমাদের সমগ্র মুসলিম উম্মার ২৬ তম রমজান শেষ। আমি প্রথমেই ধন্যবাদ দিব ভোলা জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মানিত সভাপতি আলামিন শাহরিয়ারকে সাধারণ সম্পাদক সহ রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্যকে।

আমি বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ দিব অনলাইনে শুধু আমি প্রতিনিধিত্ব করি না আমার সঙ্গে আছে ভোলা জেলা অনলাইন প্রেস ক্লাবের তুহিন ভাই। সেই সাথে আমি আরো যোগ করব ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি বা অন্য অন্য যারা আছেন অর্থাৎ পত্রিকা রিলেটেড, সাংবাদিকতা রিলেটেড, গণমাধ্যম রিলেটেড যারা প্রত্যেকের জন্যই আমার সালাম সেলুট অন্যান্য ধর্মের যারা আছেন তাদের জন্য আদাব নমস্কার।

আমরা যারা গণমাধ্যমে কাজ করি তাদের জন্য আমি জুনিয়র হিসেবে বলতে দ্বিধা নেই, যে আমি এখানে অনেকের জুনিয়র। কষ্ট হওয়ার কথা এ কারণে যে, আমাদের দেশে রিকশাওয়ালাদের শ্রমিক সংগঠন হয়, ভ্যান ওয়ালাদের শ্রমিক সংগঠন হয়, যারা তালা ঠিক করে তাদের সংগঠন হয়, আমি তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করছি না, আমি তাদেরকে দোষ দিচ্ছি না, কিন্তু তাদেরকে আমি আপনাদের সামনে উদাহরন হিসেবে তুলে ধরতে চাই যে, তাদের সংগঠন আছে কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয়ভাবে চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম হওয়ার পরেও আমাদের অবস্থা এমন ঘূর্ণিঝড় ফেনি আসার আগেই আমাদের ওয়েব সাইট উড়ে যায়।

এমন কিছু বিষয় আছে, আমাদের অধিকার গুলো, আমাদের সক্ষমতা গুলো, আমাদের কাজগুলোকে বিস্তার করার যে আপ্রাণ চেষ্টা সেই চেষ্টা গুলো আমরা করতে পারছি না।

আমাদের মধ্যে আবার ভাগ বেশি, আমাদের মধ্যে বিরোধ বেশি, আমাদের মধ্যে ডিভিশন বেশি। প্রত্যেকটা মানুষেরই গণতান্ত্রিক পন্থায় মতভেদ থাকবে, রিক্সা সংগঠনগুলো যদি একত্রিত হতে পারে, ভ্যান সংগঠনগুলো যদি একত্রিত হতে পারে, কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের সংগঠনগুলো কেন এক হতে পারে না? বিভিন্ন সংগঠন সম্পর্কে বলতে হয় মফস্বল সাংবাদিক সংগঠন, রিপোর্টার্স ইউনিটি, আবার যারা দোষ ধরবেন তাদের জন্য বলতে হয়, অনলাইন প্রেসক্লাব, কেন ভাই? আসেন আমরা এক ছাতার নিচে দাঁড়াই। ইফতারিতে আসেন এক সাথে আসি।

প্রেস ক্লাবের মেম্বার হতে হলে এই এই যোগ্যতা লাগবে, ঠিক আছে আমরা সেলুট করি সেই সব যোগ্যতা ওয়ালাদের। আসেন আমরা একসাথে বসি। যদি না পারি তাহলে কি বলবো? আমি প্রেস ক্লাবের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা নেই? রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আল আমিন শাহরিয়ারের যোগ্যতা নেই অনলাইন প্রেস ক্লাবের মেম্বার হওয়ার? তাহলে কি, আমরা ডিভিশন করছি কেন? আমরা একত্রিত কেন হতে পারছি না? এই দোষটা কি রিকশাওয়ালাদের? নাকি পলিটিশিয়ানদের? এই দোষটা আমাদের সকলের।

রিপোর্টার্স ইউনিটির যেদিন সম্মেলন হয়েছিল সেদিন আমি বলেছিলাম, ভোলার এমন কোনো সাংবাদিক বলতে পারবে না বা এমন কেউ বলতে পারবে না সিঙ্গাপুরে বাড়ি করেছে, সে ঢাকাতে ফ্ল্যাট কিনেছে, লন্ডনে বাড়ি করেছে। এমন কথা কেউ বলতে পারবে না কিন্তু যারা করছেন বা যারা এসব নিয়ে আলোচনা করছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, ভাই আমার স্বার্থের জন্য না আপনার স্বার্থের জন্যই আমাদের একত্রে থাকা উচিত।

আজকেও টেলিভিশন থেকে ক কে খ টেলিভিশন থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। ক কে খ টেলিভিশন থেকে বাদ করে দিচ্ছে। আরে ভাই আমিতো চাকুরী করছি আমার যোগ্যতায়। আপনার যোগ্যতায় তো না?

তো কি হলো? আপনাকে বাদ দিয়ে দেয়া হলো।

আমার সিনিয়র যারা আছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এখানে গণমাধ্যমকর্মীদের ইফতার আর আমি শুধুমাত্র ভোলার ইফতারেই জয়েন করি না, আমি দেশের বিভিন্ন স্থানে ইফতারের জয়েন করি, আপনারা জেনেছেন বা আপনারা শুনেছেন সেখানে আমার বক্তব্য গুলো এমনই থাকে। কারণ আমি গনমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব করি। আমি কারো চাকর না। আমি দেশের কাজ করি, আমি আমার কাজ করি।

সে ক্ষেত্রে আপনারা আজকে যারা ইফতারিতে এসেছেন তারা প্রত্যেকেই গণমাধ্যমকর্মী, গনমাধ্যমের মানুষ, গণমাধ্যমের সাথে আপনারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত, আপনারা গণমাধ্যমের সাথে সর্বক্ষণিক ভাবে থাকবেন এটাই আমার ইচ্ছা হওয়া উচিত।

কিন্তু সেই ক্ষেত্রে আমাদের একত্রিত হতে হবে। বিচ্ছিন্ন ভাবে নয়, আমাদের দল, আমাদের মত, আমাদের চিন্তা, আমাদের ভাবনা, ভিন্ন থাকতেই পারে! কিন্তু আমাদের এক সাথে আসা উচিত এবং এক সাথে কাজ করা উচিত।

আজকে সময় স্বল্পতা তাই আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করতে হচ্ছে, আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে। আপনাদের সকলের জন্য শুভকামনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top