কোন মায়ের বুক খালি করলে মেজর হাফিজকে বনানী যেতে দেওয়া হবেনা: নূরুন্নবী চৌধুরী।
সাগর চৌধুরী লালমোহন থেকেঃ লালমোহন-তজুমদ্দিনের মাটিতে মেজর হাফিজ যদি অতীতের ন্যায় আবারও হত্যার রাজনীতি করে, কোন মায়ের বুক খালি করে তাহলে এখানের ৫ লক্ষ জনগণকে সাথে নিয়ে তার কঠিন জবাব দেওয়া হবে। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে মেজর হাফিজ নিজে পুলিশের রাইফেল কেড়ে নিয়ে লালমোহনের আলম বাজার আওয়ামীলীগ কর্মিকে হত্যা করে ভোটের বক্স ছিনিয়ে নেয় হাফিজ।
আওয়ামীলীগে ভোট দেওয়ার অপরাধে হাফিজের ক্যাডার বাহিনী গরুর খুটিঁ দিয়ে মালেকের দুটি চোঁখ উপরে দেওয়া হয়।
আবার হাফিজ হেলমেট বাহিনী নিয়ে লালমোহন প্রবেশ করেছে। আবার যদি কোন মায়ের বুক খালি করে লালমোহন-তজুমদ্দিনের মাটিতে জবাব নাদিয়ে মেজর হাফিজকে আর বনানী যেতে দেওয়া হবেনা বলে হুশিঁয়ার করেছেন ভোলা-৩ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন।
এসময় তিনি মহান বিজয় দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্য এবং সকল মুক্তিযুদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ভোলার লালমোন ধলীগৌরনগর স্কুল মাঠে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসকল কথা বলেন।
ওইদিন সন্ধ্যায় ধলীগৌরনগর ৬নং ওয়ার্ড ভূইয়াঁ বাড়ীতে বোলায়েত হোসেন ভূইয়াঁর সভাপতিত্বে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উঠান বৈঠকে নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, মেজর হাফিজের জনপ্রিয়তা শূন্যর কোঠায়। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তার পরাজয় নিশ্চিত জেনে ঢাকা থেকে ভাড়া করে হেলমেট বাহিনী নিয়ে লালমোহন প্রবেশ করেই আওয়ামীলীগ নেতা কর্মিদের উপর হামলা করেছে।
জনগনের ভয়ে হেলমেট বাহিনী ওইদিন বিভিন্ন পথে পালিয়েছে। আমরা সন্ত্রাসীর রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে রাষ্ট্রনায়ক ও লালমোহন-তজুমদ্দিনের উন্নয়নের ধার অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিতে আহ্বান জানান শাওন।
বিজয় দিবস অনূষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সি আই পি ইঞ্জিনিয়ার নোমাম, লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান ফখরুল আলম হাওলাদার, তজুমদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক দেওয়ান, মুজাম্মেল হক চেয়ারম্যার, কালমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেদায়েত ইসলাম মিন্টু, বেলায়েত হোসেন ভূইয়াঁ, ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের (দক্ষিণ) বাচ্চু মাতাব্বর, যুগ্ন- আহ¦বায়ক শাহিন খন্দকার, ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের (উত্তর) সভাপতি মাকসুদ হাওলাদার প্রমূখ।