ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে সাবরেজিস্ট্রার, গড়েছেন সম্পদের পাহাড়

Picsart_24-12-13_15-11-37-652.jpg

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে সাবরেজিস্ট্রার, গড়েছেন সম্পদের পাহাড়

অপরাধ প্রতিবেদকঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। কিন্তু ওই বয়সেই মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী ছিলেন—এমন সনদ বাগিয়ে নেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নূরুল আমিন তালুকদার।

পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেই সনদে নেন সরকারি চাকরি। এরপর ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন টাকার পাহাড়। ঘুষের বিনিময়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তন, মালিকানার সঠিকতা যাচাই-বাছাই না করেই দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে অর্জন করেছেন এসব সম্পদ।

নিজের নামে ছাড়াও স্ত্রী-মেয়ের নামেও জমিসহ ব্যাংকে রেখেছেন কোটি কোটি টাকা।

নূরুল আমিন বর্তমানে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানেও নূরুল আমিনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থাটি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭১ সালে বাবা-মায়ের সঙ্গে টাঙ্গাইলের গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন নূরুল আমিন তালুকদার। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর জন্ম ১৯৬৪ সালের ১২ ডিসেম্বর। সে অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। ছিলেন প্রথম শ্রেণির ছাত্র। তাঁর পরিবারের কেউ মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নেননি। তার পরও ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী ছিলেন—মর্মে সনদ সংগ্রহ করেন নূরুল আমিন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন তিনি।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাবরেজিস্ট্রার নূরুল আমিন তালুকদার নিজ, স্ত্রী ও সন্তানের নামে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। ঢাকা, টাঙ্গাইল ও গাজীপুরে রয়েছে তাঁর একাধিক বাড়ি-ফ্ল্যাট। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘাটান্দি গ্রামে তাঁদের অঢেল সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক।

তাঁর স্ত্রী গৃহবধূ নুরুন্নাহার খানম এবং মেয়ে জিনাতের নামে থাকা প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা জব্দ করেছে দুদক। দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই টাঙ্গাইল জেলা দায়রা জজ আদালতে সম্পদ জব্দের আবেদন করে দুদক। পরে চলতি বছরের ৫ জুন টাঙ্গাইলের সিনিয়র দায়রা জজ নাজিমুদ্দৌলা সাবরেজিস্ট্রার নূরুল আমিন তালুকদার, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন।

দুদক সূত্র জানায়, নূরুল আমিনের চারটি ব্যাংক হিসাবে ১২ লাখ ১ হাজার ১১১ টাকা, স্ত্রী নুরুন্নাহারের ১০টি ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৮ টাকা এবং মেয়ে জিনাত তালুকদারের চারটি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ২৪ লাখ ৮২ হাজার ১৩৩ টাকাসহ সর্বমোট ৫ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১২ টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া নুরুন্নাহারের ৭৫ শতাংশ স্থাবর সম্পত্তি এবং জিনাত তালুকদারের নামে থাকা দুটি ফ্ল্যাট ও একটি টয়োটা গাড়ি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নূরুল আমিন তালুকদারের মোবাইল ফোনে কয়েক দফায় ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

আরও সংবাদ পড়ুন।

সাবরেজিস্ট্রার রামজীবন অভিনব কায়দায় ঘুসের টাকা বাড়িতে পাঠান

আরও সংবাদ পড়ুন।

রেজিস্ট্রেশন বিভাগ নিয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মন্তব্যে নিন্দা

আরও সংবাদ পড়ুন।

বিপুল পরিমাণ টাকা সহ দলিল লেখক ‘সিন্ডিকেটের’ ৩ জনকে আটক

আরও সংবাদ পড়ুন।

সাব-রেজিস্ট্রার তনু রায় সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক

আরও সংবাদ পড়ুন।

নিবন্ধন অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি

আরও সংবাদ পড়ুন।

২০ জেলায় নতুন জেলা রেজিস্ট্রার; ১০ সাব-রেজিষ্টারের জেলা রেজিস্ট্রার হিসাবে পদোন্নতি

আরও সংবাদ পড়ুন।

নিবন্ধন অধিদপ্তরের দালাল দুর্নীতিবাজ চক্র; তেজগাঁও রেজিস্ট্রার ভবনের দূর্নীতি ও অনিয়ম

আরও সংবাদ পড়ুন।

৬৭৭ কোটি টাকার গরমিল সাবরেজিস্ট্রার অফিসে

আরও সংবাদ পড়ুন।

গাজীপুরের সাব-রেজিস্ট্রার নূরুল আমিন তালুকদার তার স্ত্রী ও মেয়ের স্থাবর-অস্থাবর স‌ম্প‌ত্তি জ‌ব্দ

আরও সংবাদ পড়ুন।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ – দুদকের অভিযান

আরও সংবাদ পড়ুন।

অহিদুল ইসলাম ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার সাময়িক বরখাস্ত

আরও সংবাদ পড়ুন।

অহিদুল ইসলাম ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি; ৫ দিনেও সাময়িক বরখাস্ত হয়নি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top