সাংবাদিক সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক’কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বনানী স্টার কাবাবের কর্মীরা
সাগর চৌধুরীঃ স্টার কাবাবে কাচ্চি বিরিয়ানির সাথে পচা ও গন্ধযুক্ত টিক্কা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক নামে এক সাংবাদিককে মারধর করেছে হোটেলটির ম্যানেজার ও কর্মীরা।
রোববার (৬ অক্টোবর ২০২৪) দুপুরে রাজধানীর বনানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে গ্রাহক কৃষিবিদ সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলকের ডান হাত ও ডান পা ভেঙে যায়, কপাল ও মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন তিনি।
অলক অভিযোগ করেন— দুপুরে তিনি এবং তার এক বন্ধু রাজধানীর বনানী স্টার কাবাবে খেতে গিয়েছিলেন। এ সময় তাদেরকে কাচ্চির সাথে পচা ও গন্ধযুক্ত টিক্কা দেওয়া হয়। পরে তিনি বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার বন্ধু খাবারে গন্ধ হওয়ার অভিযোগ করলে স্টার কাবাবের ম্যানেজার তাকে বলেন, ‘জীবনে টিক্কা খাননি আপনি। এটা এমনই হয়।’
একপর্যায়ে অলক বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে, আশপাশের আরও তিনজন গ্রাহকও একই অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কলিংবেল চেপে সব স্টাফকে জড়ো করেন ম্যানেজার। এ সময় তারা সালেহ অলককে স্টার কাবাবের ১৪ থেকে ১৫ জন মিলে বেধড়ক মারধর করেছে, মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।’
অলক আরও বলেন, ম্যানেজারের ডাকে হোটেল কর্মচারীরা জড়ো হয়ে মারধর করেন। এ সময় তারা অন্য গ্রাহকদেরও মারধরে অংশগ্রহণের জন্য উসকানি দেন। তাদের মারধরে অলকের ডান হাত ও ডান পা ভেঙে যায়। কপাল ও মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা যায়, ভুক্তভোগী অলকের কপাল ও মাথা থেকে রক্ত বেয়ে পড়ছে। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীও উপস্থিত লোকজনকে তার ওপর অতর্কিত হামলার বিষয়ে বলছেন।
তবে এই হামলার বিষয়ে স্টার কাবাবের কর্তপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগা করা হলে, ব্যস্ততার অজুহাতে কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে রাজি হননি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, স্টার কাবাবে সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক নামের এক ব্যাক্তির ওপর হামলা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর ফোর্স পাঠিয়েছি। সেখান থেকে ওই গ্রাহককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকলের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নে রাসেল সারোয়ার বলেন, অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আরও কেউ জড়িত থাকলে, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।