ঢাকা মেডিকেল কলেজ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আজমুল হকের অনিয়ম ও দূর্নীতি
অপরাধ প্রতিবেদকঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ গণপূর্ত বিভাগ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজমুল হকের সীমাহীন অনিয়ম আর দূর্ণীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। অনিয়ম ও দূর্ণীতি করে বিদেশে অর্থ পাচার করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ গণপূর্ত বিভাগ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজমুল হক গণপূর্তের একজন দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হিসেবেই পরিচিত। তার অধীনে প্রায় হাজার কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পের বেশিরভাগ কাজ তার নিজস্ব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দিয়ে করানো হচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ গণপূর্ত বিভাগ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজমুল হক, সাবেক সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের সাথে সখ্যতার কারনে তিনি সীমাহীন ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠেন। তিনি গনপূর্তের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালনকালে তার নির্ধারিত বরাদ্দের বাহিরে ঘুপচি বিজ্ঞাপন করে নামে বেনামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এমনকি কাজ না করেই ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করার অভিযোগে শোকজও খেয়েছিলেন
তিনি। অথচ গণপূর্ত অধিদফতর তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি।
এছাড়া তিনি ঠিকাদারদের কাজ দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম ২০% কমিশনের টাকা নিয়েও তাদের কাজ দেননি
তিনি। টাকা নিয়ে কাজ না দেওয়ায় ঠিকাদারদের হাতে লাঞ্চিত হতে হয় এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে।
তিনি ঠিকাদারদের সাথে সিন্ডিকেট করে ২০% কমিশনের বিনিময়ে কাজ দিয়ে থাকেন। ২০% কমিশন ছাড়া
কোন ঠিকাদারকেই কাজ দেন না এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা।
গনপূর্তের দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তার বিভিন্ন অনিয়ম আর দূর্ণীতি মন্ত্রণালয়ের নজরে আসলে তাকে বদলী করা হয় অন্য ডিভিশনে। কিন্তু তার ক্ষমতার কাছে মন্ত্রনালয় বড়ই অসহায়।
এছাড়া তিনি এপিপি ও থোক বরাদ্দের প্রকল্প পাশের ক্ষেত্রে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ২০ শতাংশেরও বেশি
কমিশন নিয়ে থাকেন। কমিশন না দিলে ফাইল আটকেও রাখেন।
এছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজমুল হক সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলমের ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব
পালন করে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজমল হক অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যেমে প্রায় শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক।
রাজধানীর গুলশানে আলিশান ফ্ল্যাট কিনেছেন যেটি মূলত তার ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিয়েছেন।
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ৮ কাঠার প্লট কিনেছেন তার সত্রীর নামে। প্লোটের ঠিকানা: রোড-২৭/বি, বাসা নং-১৮৯/এ/সি, ধানমন্ডি-৩২। যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা।
এছাড়া রামপুরা বনশ্রীতে রয়েছে ৬ তলা বিশিষ্ট আলিশান বাড়ী।
যার ঠিকানা, ব্লক-ডি, বাসা নং- ৭৯/১/ডি।
যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।
রাজধানীর বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরের পাশে সুগন্ধা ভিলার ৩য় তলায় ১৩শ ক্ষয়ার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন
তার ত্রীর নামে। যার বাজার মূল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।
এছাড়া তার স্ত্রী’র নামে বসুন্ধরা সিটি মার্কেটের চতুর্থ তলায় ডি ব্লকে দোকান নং-৩৪/ডি এবং ৪৫/ডি এই ২টি
দোকান ক্রয় করেছেন, যার বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। যেটি বর্তমান ভাড়া দিয়েছেন।
মোহাম্মদপুর কাচা বাজারের পাশে একটি বাড়িসহ রাজধানীতে বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও জায়গা জমি কিনেছেন। তার রয়েছে ব্রান্ড নিউ হ্যারিয়ার লেকসাস গাড়ি।
গ্রামের বাড়িতে কয়েক’শ বিঘা ফসিল জমি ক্রয় করেছেন। এছাড়া কানাডায় তার বন্ধুর কাছে হুন্ডির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন তিনি। এছাড়া তার স্ত্রী’র ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে কোটি কোটি টাকা যা
তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে।
এই বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ গণপূর্ত বিভাগ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজমুল হকের বক্তব্য জানতে অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি। মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
আরও সংবাদ পড়ুন।
হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিজি আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রী’র বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আরও সংবাদ পড়ুন।
গণপূর্তের প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে ও তার স্ত্রী গোপা দের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
আরও সংবাদ পড়ুন।