সারাদেশে অবৈধ এক লাখ ফার্মেসি বন্ধ করা হবে – ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
স্বাস্থ্য প্রতিবেদকঃ দেশে নিবন্ধিত ফার্মেসি দেড় লাখের মতো। এখনো নিবন্ধনের বাইরে লাখের বেশি ফার্মেসি। আগে আইনের দুর্বলতার কারণে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি নাই। এখন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিবন্ধনের বাইরে থাকা অবৈধ ফার্মেসিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি২০২৩) ঢাকার হেমায়েতপুরে অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মহাপরিচালক আরও বলেন, উন্নত দেশে ফার্মেসি একই রকম হলেও আমাদের এখানে ফার্মেসির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যও চলে। তাই লাজফার্মার মতো মডেল ফার্মেসি ও মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন ফার্মেসি ছাড়া সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আগে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি নাই, এবার ৪২ বছর পরে একটি আইন আসছে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আইন মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। সামনে সংসদে এই আইন পাশ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহারের পেছনে যত্রতত্র ফার্মেসি অন্যতম কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাথাব্যথাসহ যে কোনো কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক নিতে পারছে মানুষ। এক্ষেত্রে ফার্মেসিগুলো কোনো নিয়ম মানছে না। এতে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা হারাচ্ছে। এমনকি আইসিইউতে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, সেটিও কাজে আসছে না। বিশ্বব্যাপী সামনে যা মহামারি রূপ নেবে। ঔষধ প্রশাসন
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশে যত ফার্মেসি রয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে ২ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ওষুধ আনতে হয়। আমাদের দেশেও এক সময় কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ওষুধ আনতে হতো, এখন হাত বাড়ালেই ফার্মেসি।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল হাসপাতালে গিয়ে হতবাক স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সহ কর্মকর্তরা