ভোলার লালমোহনে বীর নিবাস নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম;
নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার
ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘বীর নিবাস’ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ করে গত ২৫ ডিসেম্বর অনিয়ম বন্ধে বিভিন্ন দপ্তর এর কাছে চিঠি দিয়েছেন এক ব্যক্তি।
চিঠিতে বলা হয়, ভোলার লালমোহনে ১৭জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর নিবাস পেয়েছেন। এসব বীর নিবাস নির্মাণ করছে লালমোহন পৌরসভা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাদল।
বীর নিবাস নির্মাণে নিন্ম মানের ইট ও সামগ্রী ব্যবহার করছেন ঠিকাদার এবং ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় এনিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বা তাদের পরিবারের কেউ ভয়ে কিছু বলতে পারেন না।
ইতোমধ্যে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা হারিছ আহমেদের বীর নিবাস নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তোলায় সেই নিবাস নির্মান বন্ধ রেখেছে ঠিকাদার। ফলে ঘর হারিয়ে বাইরে দিনযাপন করছে পরিবারটি।
তাছাড়াও বীর নিবাস নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তোলায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি দেয়ার কথাও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। তাই এসব অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ করিম।
লালমোহন উপজেলার বীর নিবাসের তথ্য জানতে চেয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ ঘোষের মুঠোফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা না বলেই ফােন কেটে দেন তিনি। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি এ কর্মকর্তা।
তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, লালমোহন উপজেলায় ১৭ জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর নিবাস পেয়েছেন। এসব বীর নিবাসের প্রতিটির ব্যয়মূল্য প্রায় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা। বীর নিবাস নির্মাণ কাজ পেয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিনারগোজ এন্টারপ্রাইজ, যার মালিক শফিকুল ইসলাম বাদল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অনামিকা নজরুল বলেন, এমন একটি চিঠি পেয়ে ঠিকাদার কে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি এবং উপযুক্ত নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বীর নিবাস নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে দেশের জন্য জীবন বাজি রাখা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মাণে এমন অনিয়ম-দুর্নীতি দেখে হতভম্ব ওই এলাকার সচেতন মানুষ।
প্রথম পর্ব।
বিস্তারিত আরও আসছে….