হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউটে অনিয়ম-দুর্নীতি – দুদকের অভিযান
সাগর চৌধুরীঃ সরকারি আবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এইচবিআরআই) এ জেনারেটর, সাবস্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট স্থাপনে অনিয়ম এবং ২৮ জন নিরাপত্তাকর্মী কাজ করলেও ৪১ জনের বেতন উত্তোলন করা সহ নানা রকম অনিয়ম-দুর্নীতি সম্পর্কে অবহিত হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়, ঢাকা – এর দুই সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম আজ রবিবার (০৬নভেম্বর২০২২) একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান পরিচালনাকালে টিম সেসব জেনারেটর, সাবস্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট পরিদর্শন করে এবং সবগুলো মেশিনই অকার্যকর দেখতে পায়।
এ বিষয়ে ইন্সটিটিউটের বর্তমান মহাপরিচালক এবং প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসারের সাথে প্রজেক্টসমূহের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করে টিম।
আবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এইচবিআরআই) এর মহাপরিচালক মোঃ আশরাফুল আলম এবং প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মোঃ নাফিজুর রহমান এর ভাষ্যমতে উক্ত প্রজেক্ট সমূহ এবং নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ সম্পর্কে ইতোমধ্যে পৃথক পৃথক বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জানান, টিম এ সম্পর্কিত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এর আগে, ২০২০ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান
প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি
ও অবৈধ কাজের মাধ্যমে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদ
অর্জন আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীমের সাথে ঘনিষ্ঠ
সম্পৃক্ততা উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে
একটি অভিযোগ দায়ের করেন মোঃ খলিলুর রহমান
নামে এক ঠিকাদার।
দুদক কর্তৃক অভিযোগ ও তদন্ত পূর্বক গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশল এর চেয়ার থেকে অপসারিত হন তিনি। তার বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার দুর্নীতি অনিয়ম সহ পরিবারের নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ উপার্জনের তথ্য পাওয়া যায়।