মিজানুর রহমান অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পেল – আদালতের আদেশে
বিশেষ প্রতিবেদকঃ আদালতের আদেশে মিজানুর রহমানকে অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) পুলিশ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান নিজেই গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেণ।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের রায় অনুসারে ১১ অক্টোবর থেকে আমি অতিরিক্ত আইজিপি (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পুলিশের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমানকে পরবর্তী পদে (অ্যাডিশনাল আইজি) পদোন্নতি দিতে আপিল বিভাগের রায় দ্রুত কার্যকর করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
ডিআইজি মিজানের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন-নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে এ নোটিশ পাঠান। পুলিশের মহাপরিদর্শককে নোটিশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর ডিআইজি মো. মিজানুর রহমানকে পরবর্তী পদে পদোন্নতির প্রশাসনিক আপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখে লিখিত রায় দেন আপিল বিভাগ। যার মাধ্যমে তার পরবর্তী উচ্চ পদে পদোন্নতিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
গত ২৬ মে দেওয়া ওই রায়ের সার্টিফাইড কপি ১ সেপ্টেম্বর হাতে পাওয়ার পর আদালতের রায় অনুসারে মিজানুর রহমান ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি পদোন্নতির সঙ্গে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
রায়ের বিষয়ে মিজানুর রহমানের আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার মৌসুমী ফাতেমা কবিতা জানান, পদোন্নতির ফোরাম হচ্ছে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। সেই প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল এবং আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ও ডিআইজি মিজানুরের পক্ষে এসেছে। সর্বশেষ আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় যথাযথ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে ডিআইজি মিজানুর রহমানের পরবর্তী পদোন্নতির ক্ষেত্রে আর কোনো আইনি বাধা নেই।
মো. মিজানুর রহমান ১৭তম বিসিএস (পুলিশ ক্যাডার) পরীক্ষায় ১ম স্থানসহ সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৪র্থ স্থান অধিকার করে ১৯৯৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে যোগ দেন।
২০০৩ সালে অ্যাডিশনাল এসপি ও ২০০৬ সালে এসপি হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।
মিজানুর রহমানের চার ভাইও বিসিএস ক্যাডারে কর্মরত রয়েছেন।
সর্বশেষ হাইকোর্টের রায়ে ২০১৮ সালের ৩ জুলাই ডিআইজি হিসেবে র্যাংক ব্যাজ পরেন মিজানুর রহমান।