চাকরি গেল প্রাথমিকের ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়া’র
অপরাধ প্রতিবেদকঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর বেপরোয়া চাঁদাবাজি, তাদেরকে বিভাগীয় মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ আদায় ও হয়রানি করার অপরাধে চাকরি খোয়ালেন প্রাথমিকের ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়া।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।
অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বিভাগীয় মামলায় গুরুদণ্ড হিসেবে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। এর আগে অভিযোগ ওঠার পর তাকে গত ডিসেম্বরে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মো. ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বদলি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অর্থের বিনিময়ে বদলি বাণিজ্য, বিভাগীয় মামলার ভয় দেখিয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এ অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) ও তথ্য অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। একইসাথে তিনি ব্যক্তিগত শুনানি চান কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। তিনি লিখিত জবাব দিলেও ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ না নেওয়ায় বিভাগীয় মামলাটি তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে মতামত দেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা ইফতেখারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরি হতে চূড়ান্ত বরখাস্তকরণের গুরুদণ্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলে তিনি ওই নোটিশের জবাব দাখিল করেন। তার জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় তাকে চাকরি হতে বরখাস্ত করতে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মতামত চাওয়া হলে এ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের সাথে কমিশন একমত পোষণ করে।
আদেশে বলা হয়, মো. ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) ও ৩(ঘ) মোতাবেক অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই বিধিমালার অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে বিধি মোতাবেক তাকে চাকরি হতে বরখাস্তকরণের গুরুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।