নাটোরে ইউএনওর গাড়িচাপায় সাংবাদিক সোহেল রানা
নিহত
নাটোরপ্রতিনিধিঃ নাটোরে ইউএনওর গাড়িচাপায় সাংবাদিক নিহত হয়েছে।
নাটোরের সিংড়ায় নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িচাপায় সোহেল রানা নামের সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের নিংগইন তেল পাম্প এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সোহেল রানা বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক দূরন্ত পত্রিকার সিংড়া প্রতিনিধি ও আগপাড়া শেরকোল বন্দর উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি সিংড়া পৌর এলাকার বালুয়া বাসুয়া মহল্লার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নাটোরের সিংড়া গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মানসী দত্ত মৌমিতা নলডাঙ্গা ইউএনও সুখময় সরকারের সহধর্মিণী। সকালে ইউএনওর স্ত্রীকে কর্মস্থলে পৌঁছে দিতে সরকারি গাড়ি নিয়ে সিংড়া আসেন চালক। সিংড়া পৌঁছার আগে নিংগইন তেল পাম্প এলাকায় ইউএনওর গাড়ির সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিষ্ট হন আরোহী সাংবাদিক সোহেল রানা।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দুপুর ১টার দিকে তিনি মারা যান। পরে ঘটনাস্থলে আসেন নলডাঙ্গার ইউএনও সুখময় সরকার।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আফজাল হোসেন, সুলায়মান ও শরিফুল ইসলাম জানান, ইউএনওর গাড়ি দ্রুতগতিতে সিংড়ার দিকে আসছিল। নিংগইন পৌঁছালে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে ইউএনওর গাড়ির চাকায় পিষ্ট হন সাংবাদিক সোহেল রানা। পরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে কলেজে যান ইউএনওর সহধর্মিণী মানসী দত্ত মৌমিতা। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে গাড়ি দুটি উদ্ধার করে।
তবে স্ত্রীকে কর্মস্থলে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার। তিনি বলেন, নলডাঙ্গা ছোট উপজেলা। সেখানে পেট্রল সংকটের কারণে সিংড়ায় পেট্রল নিতে পাঠিয়েছি।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাংবাদিক সোহেল রানাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান।
ইউএনও এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, আমরা দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম। তবে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তার পরিবারকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
সাংবাদিক সোহেল রানা পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সহ-সভাপতি, কালের কণ্ঠ শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।