লালমোহনে অসহায় পরিবারের সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে জমি দখল
উপজেলা প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে দিনমজুর আবু কালাম গং ও সাত্তার গংদের বিরোধীয় বাগান দখল করে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ৮ টি রেন্ডি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক মালের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, কালমা ইউনিয়নের চর ছকিনা ৫ নং ওয়ার্ডের হাস কালাম বাড়ীর আবু কালাম গং ও সাত্তার গংদের মধ্যে চরছকিনা মৌজার ২৯৪৫,৪৬,৪৭ নং দাগের বসত বাড়ীর ১০৩ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ওই জমি নিয়ে ভোলা বিজ্ঞ আদালতে মামলা হলে ২০১৬ সালে আবু কালাম গংদের পক্ষে ৮৬ শতাংশ জমির মালিকানা রায় প্রদান করেন আদালত।
দীর্ঘ দিন শান্তিপুর্ণ ভাবে আবু কালাম গং ৮৬ শতাংশ বসত ঘর ও বাগান ভোগ দখলে রয়েছে। তাদের ওই বাগানে বেশ কিছু মোটা রেন্ডি গাছ থাকায় সাত্তার গংদেরকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ইন্দন যুগিয়ে আদালতের রায় উপেক্ষা করে নিরিহ দিনমজুর আবু কালাম গংদেরকে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে সাদা কাগজে জোরপূর্বক সাক্ষর নিয়ে তাদের অনুপস্থিতিতে সাত্তার গংদের সাথে নিয়ে স্থানীয় মেম্বার ফারুক মাল, জহির হাওলাদার, সিরাজ পঞ্চায়েত, সোহাগ পন্ডিত ও ছালাম মালসহ বেশ কিছু লোকজন আবু কালাম গংদের জমিতে পিলার গেড়ে বাগান দখল করে নেয়।
ইউপি সদস্য ফারুক মালের নির্দেশে দখলকৃত বাগান থেকে জোরপূর্বক ভাবে প্রায় আড়াই লাখ টাকার রেন্ডি গাছ কেটে ফেলা হয়। বেপরোয়া ভাবে রেন্ডি গাছ কেটে ফেলার সময় বাগানের বেশকিছু ছোট ছোট নারিকেল সুপারি গাছ নষ্ট করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, অন্যায় ভাবে ফারুক মেম্বার এর সহায়তায় সালিশের নামে নিরীহ আবু কালামদের বাগানের জমি জোরপূর্বক সাত্তার গংদের দখল করে দিয়ে গাছ কেটে নিয়ে আত্মসাৎ করছে ফারুক মেম্বার ও তার লোকজন।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য ফারুক মাল জানান, আমরা কাগজ পত্র দেখে জমি বন্টন করেছি। কারো জমি কাউকে দেওয়া হয়নি।
রেন্ডি গাছ কাটার বিষয়ে ইউপি সদস্য ফারুক মাল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গাছ আমার ভাই সোহরাব মাল ৪০ হাজার টাকায় সাত্তার গংদের কাছ থেকে কিনেছে।
তবে ফারুক মাল এর আরেক ভাই সোহাগ জানান, গাছ তিনি ৮০ হাজার টাকায় কিনেছেন।
এবিষয়ে লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনা আমি শুনেছি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।