অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কর্মাস ব্যাংক লি: চেয়ারম্যান সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
সাগর চৌধুরীঃ অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে ভূয়া ভিজিট প্রতিবেদন ও ভূয়া স্টক লট প্রস্তুত করে খুলনা বিল্ডার্স লি: নামীয় কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মালিক’কে ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা প্রদান এবং সংশ্লিষ্ট ঋণের বেনিফিসিয়ারী’গণ সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কর্মাস ব্যাংক লি: থেকে ২০.৬০ কোটি টাকা (বিশ কোটি ষাট লক্ষ টাকা) উত্তোলনপূর্বক আত্মসাত করায় এবং পরবর্তীতে, বিভিন্ন লেয়ারিং এর মাধ্যমে উক্ত অর্থ বিভিন্ন কোম্পানী ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রুপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাত করতঃ নিজেদের ভোগ দখলে রেখে উহার অবৈধ প্রকৃতি, উৎস অবস্থান গোপন বা এর ছদ্মাবরণে পাচার করায় বা পাচারের প্রচেষ্টায়/ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থাকায় (১) এস, এম আমজাদ হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান, সাউথ-বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লি:, (২) তপু কুমার সাহা, সাবেক এমটিও, এসবিএসি ব্যাংক লি:, খুলনা শাখা, খুলনা, বর্তমানে সিনিয়র অফিসার, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক লি:, কপোর্রেট হেড অফিস, গুলশান, ঢাকা; (৩) বিদ্যুৎ কুমার মন্ডল, সিনিয়র অফিসার, এসবিএসি ব্যাংক লি:,মতিঝিল, (৪) মোহা: মঞ্জুরুল আলম, পিতা: মুহা: শামছুর রহমান, এফএভিপি ও অপারেশন ম্যানেজার, এসবিএসি ব্যাংক লি:, মতিঝিল , (৫) এস, এম ইকবাল মেহেদী,ভিপি ও সাবেক শাখা প্রধান, এসবিএসি ব্যাংক লি:,বর্তমানে, ভিপি, প্রধান কার্যালয়, এসবিএসি ব্যাংক লি:, মতিঝিল, (০৬) মো: নজরুল ইসলাম, ইও এবং ক্রেডিট ইনচার্জ, এসবিএসি, খুলনা শাখা,(০৭) মারিয়া খাতুন,সিনিয়র অফিসার, এসবিএসি, খুলনা শাখা’র বিরুদ্ধে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো: গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় আজ ২১/১০/২০২১ খ্রি. তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন।
অনুসন্ধানকালে রেকর্ডপত্রাদি পর্যালোচনা, সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য ও বিএফআইইউ এর গোয়েন্দা প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আসামী সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কর্মাস ব্যাংক লি: এর সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন নিজে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমুলক বিশ্বাসভঙ্গ করে অপরাপর আসামীদের সহায়তায় ভূয়া ভিজিট প্রতিবেদন ও ভূয়া স্টক লট প্রস্তুত করে খুলনা বিল্ডার্স লি: নামীয় কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মালিক’কে ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন এবং সংশ্লিষ্ট ঋণের বেনিফিসিয়ারী’গণ সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কর্মাস ব্যাংক লি: থেকে ২০.৬০ কোটি টাকা (বিশ কোটি ষাট লক্ষ টাকা) উত্তোলনপূর্বক আত্নসাত করেন এবং পরবর্তীতে, বিভিন্ন লেয়ারিং এর মাধ্যমে উক্ত অর্থ বিভিন্ন কোম্পানী ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রুপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাত করতঃ নিজেদের ভোগ দখলে রেখে উহার অবৈধ প্রকৃতি, উৎস অবস্থান গোপন বা এর ছদ্মাবরণে পাচার করেছেন বা পাচারের প্রচেষ্টায়/ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে দন্ডবিধি, ১৮৬০ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সম্পৃক্ত ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
অনুসন্ধানকালে রেকর্ডপত্রাদি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, খুলনা বিল্ডার্স লিমিটেড এর চেয়ারম্যান বেগম সুফিয়া আমজাদ হলেও মুলত উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস,এম আমজাদ হোসেনই একক স্বাক্ষরে সবকিছু পরিচালনা করতো এবং মঞ্জুরীকৃত ঋণের অর্থ এস,এম আমজাদ হোসেনের একক স্বাক্ষরযুক্ত চেকে উত্তোলিত হয়েছে, মর্মে রেকর্ডপত্রাদি বিশ্লেষণে দেখা যায়।
এমতাবস্থায়, আসামীগণ কর্তৃক অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমুলক বিশ্বাসভঙ্গ করে ভূয়া ভিজিট প্রতিবেদন ও ভূয়া স্টক লট প্রস্তুত করে খুলনা বিল্ডার্স লি: নামীয় কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মালিক’কে ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন এবং সংশ্লিষ্ট ঋণের বেনিফিসিয়ারী’গণ সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কর্মাস ব্যাংক লি: থেকে ২০.৬০ কোটি টাকা (বিশ কোটি ষাট লক্ষ টাকা) উত্তোলনপূর্বক আত্নসাত করেন এবং পরবর্তীতে, বিভিন্ন লেয়ারিং এর মাধ্যমে উক্ত অর্থ বিভিন্ন কোম্পানী ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রুপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাত করতঃ নিজেদের ভোগ দখলে রেখে উহার অবৈধ প্রকৃতি, উৎস অবস্থান গোপন বা এর ছদ্মাবরণে পাচার করেছেন বা পাচারের প্রচেষ্টায়/ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে দন্ডবিধি, ১৮৬০ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।