বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন এর জন্য ৩ ব্যক্তি -প্রতিষ্ঠান মনোনীত
বিশেষ প্রতিবেদকঃ প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী সংস্থা ও ব্যক্তিকে জাতীয়ভাবে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে তিনটি ক্যাটেগরিতে “বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন” প্রদানের জন্য দুই ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন-২০২০ প্রদানের লক্ষ্যে মনােনয়ন চূড়ান্তকরণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বন্যপ্রাণী উপদেষ্টা বাের্ডের সভায় পদক দেয়ার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কাজে নিয়ােজিত কর্মকর্তা, খ্যাতিমান গবেষক, বিজ্ঞানী, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী ব্যক্তি ও গণমাধ্যম কর্মী/ব্যক্তিত্ব ক্যাটেগরিতে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বন সংরক্ষক এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অভ নেচার (আইইউসিএন), বাংলাদেশ এর প্রাক্তন কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইশতিয়াক উদ্দিন আহমদ মনোনীত হয়েছেন। এছাড়াও বন্যপ্রাণী বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা ক্যাটেগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড মােহাম্মদ ফিরােজ জামান এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান ক্যাটেগরিতে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার ১২নং নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের আশুরহাট পাখি সংরক্ষণ সমিতি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো : শাহাব উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন অবিবেচনাপ্রসূত কাজের ফলে শুধুমাত্র বন্যপ্রাণী অবলুপ্ত হচ্ছে তা নয়, প্রাকৃতিক ভারসাম্যও বিঘ্নিত হচেছ এবং প্রতিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি হচেছ। বন্যপ্রাণীর প্রতি ভালবাসা প্রদর্শন ও সংরক্ষণে অধিকতর গুরুত্ব প্রদানের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইন জারী করেছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আন্তরিক ভাবে কাজ করছে। একাজে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালেয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো : মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ, কে, এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু এবং আইইউসিএন এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রাকিবুল আমীনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, “বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন” এর প্রতিটি শ্রেণীতে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ২ ভরি (২৩.৩২ গ্রাম) ওজনের স্বর্ণের বাজারমূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ ও ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকার একাউন্ট পে-ই চেক এবং সনদপত্র বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুন মাসে অনুষ্ঠিতব্য বৃক্ষমেলার উদবোধন অনুষ্ঠানে প্রদান করা হবে।