নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল থেকে সিরাপিতে ইউনো ওয়াহিদা খানম

নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল থেকে সিরাপিতে ইউনো ওয়াহিদা খানম

বিশেষ প্রতিবেদকঃ প্রায় এক মাস চিকিৎসা শেষে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক ইউএনও ওয়াহিদা খানম। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে ছুটি মেলার পর থেরাপির জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুরের সিআরপি হাসপাতালে।


প্রায় এক মাসের চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠার পর দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক ওইউএনও ওয়াহিদা খানমকে জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে পাঠানো হয়েছে মিরপুর সিআরপিতে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় ওয়াহিদাকে। এর পরপরই তাকে মিরপুর সিআরপিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা এখন ‘ভালো’। এক মাস পর তাকে আবার হাসপাতালে গিয়ে দেখিয়ে যেতে বলেছেন চিকিৎসকরা।

“তিনি যখন প্রথম এখানে আসেন, তখন অপারেশন করার মত অবস্থায় ছিলেন না। আমরা তাকে অপারেশেন করার মতো অবস্থায় আনি। এরপর তার অস্ত্রোপচার হয়। অপারশেনের পর ডান দিক নাড়াতে পারছিলেন না। তবে এখন তিনি হাঁটতে পারছেন।”

ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থা এখন ‘ভালো’ হলেও তিনি শতভাগ সেরে ওঠেননি জানিয়ে ডা. জাহেদ হোসেন বলেন, “এ কারণে তাকে আমরা সিআরপিতে পাঠিয়েছি ফিজিওথেরাপির জন্য। এখনও যে সমস্যা সামান্য আছে, সেটা দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবেন।”

নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি ওয়াহিদা খানম।

হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বলেন, “ওয়াহিদা খানমের একটা জটিল অপারেশন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যেই তিনি হেঁটে হাসপাতাল থেকে যেতে পারলেন। এটা নিউরোসার্জারিতে বিস্ময়কর না হলেও তার জন্য অনেক বড় পাওয়া।”

গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরের ইউএনওর সরকারি বাসভবনে ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয়।

হাতুড়ি আঘাতে আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদাকে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে আনা হয়।

৩ সেপ্টেম্বর রাতে অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রাখা হয় ওয়াহিদা খানমকে। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ৭ সেপ্টেম্বর আইসিইউ থেকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয় তাকে।

চিকিৎসার সুবিধার জন্য গত ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়াহিদাকে ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্ব থেকে বদলি করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কোনো দায়িত্ব না দিয়ে জনপ্রশসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে রাখা হয়েছে তাকে।

ওয়াহিদার স্বামী মো. মেজবাউল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। স্ত্রীর চিকিৎসার বিষয়ে তিনি যেন সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখতে পারেন, সেজন্য তাকেও বদলি করে ঢাকায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top