এবারে করোনার কারণে ঝুলে গেছে ৩৮তম বিসিএসের ফল
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলের শুধু ঘোষণা বাকি ছিল। গত মার্চ মাসের শেষদিকে ফলাফল প্রকাশের জন্য সবকিছুই প্রায় গুছিয়ে এনেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
কিন্তু করোনা ভাইরাসের ছোবলে আটকে গেছে ফলাফল ঘোষণা। এতে আবারো দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হতে পারে পরীক্ষার্থীদের।
সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে পিএসসির পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হলে আবার ফল প্রকাশের প্রত্যাশা তৈরি হয়। তবে পিএসসি বলছে, জাতির ক্রান্তিলগ্নে চিকিৎসক এবং নার্স নিয়োগের সুপারিশ করার জন্যই মূলত ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের সুযোগ নেই।
৩৮তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক ইত্তেফাককে বলেন, ‘করোনা শুধু জাতীয় নয়, এটি বৈশ্বিক সঙ্কট তৈরি করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে অনেক আগেই ৩৮তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশ করা হতো।
তিনি পরীক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহবান জানিয়ে বলেছেন, বাস্তবতা সবাইকে মানতে হবে। এখন সরকার কর্তৃক সাধারণ ছুটি। করোনা কারণে পিএসসির স্বাভাবিক সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিএসসির সংশ্লিষ্টরা সরকারের নির্দেশনায় শুধু চিকিৎসক এবং নার্স নিয়োগের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথেই ৩৮তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
পিএসসির সংশ্লিষ্টরা ইত্তেফাককে বলছেন, ফলাফল প্রকাশের পরিকল্পনা ছিল গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে। ৩৮তম বিসিএসের শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য দুইজন পরীক্ষক কর্তৃক খাতা মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করে পিএসসি। মূলত দুইজনের মধ্যে নম্বরের হেরফের হলে তৃতীয় পরীক্ষক কর্তৃক খাতা মূল্যায়ন, এছাড়াও ৩৮তম বিসিএস চলমান অবস্থায় ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের কার্যক্রম সম্পন্ন, অধিক স্বচ্ছতার জন্য ১২পরীক্ষার্থী নিয়ে ভাইভা বোর্ড গঠন-এসব কারণে এই বিসিএসের ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে। পরীক্ষার্থী এই বিসিএসের ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় বেশ উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন, এই বিসিএস সম্পন্ন করতে প্রায় তিনবছর লেগে যাচ্ছে।
গত বছরের ২৯ জুলাই থেকে ৩৮তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। গত বছরের ১ জুলাই ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে পাশ করেন ৯ হাজার ৮৬২ জন। ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে ২ হাজার ২৪ জন ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ করার কথা ছিল।
তবে এখন এই বিসিএসে ১৩৬ জন বেশি নিয়োগ পাবেন। এতে এই বিসিএসে মোট পদের সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ১৬০। ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন।