কমিশনের কার্যক্রমকে আরো বিকশিত করতে সর্বসাধারণের মতামত ও পরামর্শ নিচ্ছে কমিশন

191020_155904_388.jpg

কমিশনের কার্যক্রমকে আরো বিকশিত করতে সর্বসাধারণের মতামত ও পরামর্শ নিচ্ছে কমিশন।

সাগর চৌধুরীঃ দেশের দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমন দুর্নীতি দমন কমিশন বহুমুখী ও বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে কেউ কেউ বিচ্ছিন্নভাবে মতামতও প্রকাশ করছেন। এসব  মতামতকে কমিশন অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পর্যালোচনা করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের মতামতকে কমিশনের কর্মপ্রক্রিয়ায় সংযোজনও করা হয়। একথাও সত্য এক সময়ে সমাজে বিদ্যমান অনেক অপরাধই কেবল সমাজশক্তির তীব্র প্রতিরোধেই বিলুপ্ত হয়েছে। কমিশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে জনগণের সমন্বিত অংশগ্রহণ ব্যতীত দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন টেকসই করা কঠিন।

এ প্রেক্ষাপটে এমাসের পূর্ণাঙ্গ কমিশন সভায় দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের বর্তমান কার্যক্রমের (ম্যান্ডেট) বাইরে আরো কি কি কার্যক্রম নেওয়া যেতে পারে সে লক্ষ্যে সর্বসাধারণ (ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান) এর মতামত বা পরামর্শ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনের তফসিলভুক্ত অভিযোগের অনুসন্ধান-তদন্ত-প্রসিকিউশন, হটলাইন-১০৬, গণশুনানি, সততা স্টোর, সততা সংঘ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির চলমান কার্যক্রমের বাইরে আরো কি কি কার্যক্রম নেয়া যেতে পারে এসব বিষয়ে সর্বসাধারণের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের যে কোনো নাগরিক (ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান)

আগামী২০/১১/২০১৯ তারিখের মধ্যে ডাকযোগে চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ১, সেগুনবাগিচা, ঢাকা বরাবর অথবা কমিশনের নিজস্ব হটলাইন-১০৬ অথবা কমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্টের ইনবক্সে (ভধপবনড়ড়শ/ধপপ.ড়ৎম.নফ) নিচের ছক অনুযায়ী  মতামত/পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন (পরামর্শ আলাদা কাগজে দেয়া যেতে পারে)।

কার্যক্রমের নাম বাস্তবায়ন হচ্ছে এমন কার্যক্রম যে বিষয়ে সুপারিশের প্রয়োজন   সর্বসাধারণের মতামত ও পারমার্শ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি কমিশন এসব কমিটির মাধ্যমে গণসচেতনতামূলক কর্মসূচি যেমন: আলোচনা সভা, সেমিনার, গণশুনানি সহ বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিকে দুর্নীতি বিরোধী কর্মকান্ডে কিভাবে আরও সক্রিয় ও টেকসই করা যেতে পারে। সততা সংঘ দেশের প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গঠিত সততা সংঘের মাধ্যমে দুর্নীতি বিরোধী রচনা প্রতিযোগিতা, বিতর্ক এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

তরুণ প্রজন্মকে কিভাবে উত্তম চর্চার বিকাশে আরো নিবিড়ভাবে  সম্পৃক্ত করা যেতে পারে বা আগামী প্রজন্মকে নিয়ে আর কি করা যায়!     
সততা স্টোর প্রাত্যহিক জীবনে সততা চর্চার জন্য কমিশন ইতোমধ্যে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্রেতাবিহীন সততা স্টোর স্থাপন করেছে।

প্রাত্যহিক জীবনে সততার চর্চা বৃদ্ধির জন্য আরও কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।     

গণশুনানি তৃণমূল পর্যায়ে হয়রানিমুক্ত সরকারি পরিষেবা প্রদানে দেশব্যাপী স্থানীয় সরকারি কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতা নাগরিকদের নিয়ে প্রায় ১৩০টি গণশুনানি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

এসব গণশুনানির মাধ্যমে কীভাবে তৃণমূল পর্যায়ে হয়রানিমুক্তভাবে টেকসই সরকারি পরিষেবা নিশ্চিত করা যেতে পারে।     

হটলাইন-১০৬ দুর্নীতি সংঘটিত হওয়ার পূর্বেই তা প্রতিরোধ অথবা দুর্নীতি হচ্ছে এমন ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিশন হটলাইন-১০৬ চালু করে এবং হটলাইনের মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ করে নিয়মিতভাবে এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছে।

 ১০৬-এ প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আরও কীভাবে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে কার্যকর ও সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।     

কমিশন স্ব-উদ্যোগে অথবা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক আইনের তফসিলভুক্ত অভিযোগের অনুসন্ধান, তদন্ত ও প্রসিকিউশন কার্যক্রম।    

কমিশন বিধি অনুসারে অভিযোগসমূহ (ঘুষ, অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি সম্পদ ও অর্থ আত্মসাত) যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করে। পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণাদি পাওয়া গেলে মামলা দায়ের করে এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে এবং প্রসিকিউটরদের মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করে।

এছাড়াও অনুসন্ধান ও তদন্ত পর্যায়ে সার্চ, সিজ ও এ্যারেস্ট করার ক্ষমতা কমিশনের রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় এসব ক্ষমতার প্রয়োগও করা হয়।

অনুসন্ধান ও তদন্ত পর্যায়ে আরও কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন আরও কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে। প্রসিকিউশনসহ অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিতকরণে করণীয় বিষয়ে মতামত প্রদান করা যেতে পারে।    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top