শুল্ক, আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেট শাহাবুদ্দীন নাগরী কারাগারে

PicsArt_07-21-06.05.45.jpg

শুল্ক, আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেট শাহাবুদ্দীন নাগরী কারাগারে।

সাগর চৌধুরীঃ দুর্নীতির মামলায় শুল্ক, আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকার অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার এ এইচ এম শাহাবুদ্দীন নাগরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন। এর আগে শাহাবুদ্দীন নাগরী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

অপরদিকে শাহাবুদ্দীন নাগরীর জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম। আদালতে শাহাবুদ্দীন নাগরীর পক্ষে জামিন শুনানি করেন তাঁর আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হীরু।

দুদকের এই আইনজীবী বলেন, দুদকের এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিনে ছিলেন আসামি শাহাবুদ্দীন নাগরী। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে শাহাবুদ্দীন নাগরী আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন তিনি। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে শাহাবুদ্দীন নাগরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ২১ জুলাই জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শাহাবুদ্দীন নাগরীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১–এ মামলাটি করেন উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

দুদক সূত্র বলছে, শুল্ক, আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকার অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার শাহাবুদ্দীন নাগরীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় মামলায়। এই সঙ্গে দুদকে মিথ্যা তথ্যসংবলিত সম্পদ বিবরণী দাখিলের অভিযোগও আনা হয়েছে। ওই মাসেই তিনি দুদকের সচিব বরাবর সম্পদ বিবরণী জমা দেন। ওই বিবরণী অনুসন্ধান ও যাচাইয়ের সময় দেখা যায়, তিনি (শাহাবুদ্দীন নাগরী) ১৯৮৩ সালে সহকারী কালেক্টর হিসেবে কাস্টমস বিভাগে চাকরিতে যোগ দেন। সর্বশেষ কাস্টমস কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) পদে কর্মরত থেকে অবসর নেন। তিনি দুদকে তাঁর নামে অর্জিত ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্থাবর ও ২ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ৫৭৭ টাকার অস্থাবর সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেন।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১ কোটি ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৫১ টাকার সম্পদের কোনো উৎস পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top