সীতাকুণ্ডে ঘুষের অভিযোগে এসিল্যান্ডকে দুদকে তলব
অপরাধ প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়ের করা ঘুষের অভিযোগ তদন্তে সীতাকুণ্ডের এসিল্যান্ড মো. আশরাফুল আলমকে তলব করেছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল।
একইসঙ্গে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসের কানুনগো, সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, দুই সার্ভেয়ার, প্রাক্তন নাজিরসহ দপ্তরের আরও এক অস্থায়ী কর্মচারীকে। নাহিদা আক্তার নামে এক এতিম শিক্ষার্থীর দায়ের করা লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বেলা ১১টায় রাজস্ব কার্যালয়ে তাদের সকলকে স্ব-শরীরে হাজির থাকতে বলা হয়। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ সাত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিযোগকারী নাহিদার কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাহিদা আক্তার নামে একজন হতদরিদ্র, এতিম শিক্ষার্থী তার সামান্য ০.২৫ শতক জমি নামজারির জন্য সীতাকুণ্ড উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন। কিন্তু পদে পদে তিনি ঘুষ দাবির মুখে চরম হয়রানির শিকার হন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, শুরুতে সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা ওই অফিসের অস্থায়ী কর্মচারি কামরুল ইসলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। ঘুষের কারণ প্রধান কর্মকর্তা শাহ আলমকে জিজ্ঞেস করলে উত্তরে তিনি বলেন, টাকা ছাড়া কাজ করি না আমরা, ঘুষ না দিলে নামজারি প্রস্তাব পাঠানো হবে না। ‘ফলে নাহিদা আক্তার তাদেরকে আরও ৩০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হন। কিন্তু পরবর্তীতে ফাইলটি উপজেলা ভূমি অফিসে আসলে পুনরায় নাজির সাহেদুল ইসলাম নাহিদা আক্তারের কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। তার দাবি মেটাতে ব্যর্থ হলে নাহিদা আক্তারকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। আজ নয় কাল করে করে কালক্ষেপণ করেন অফিস সহকারী সাহেদুল ইসলাম। এসিল্যাণ্ডের সাথে সরাসরি দেখা করতে চাইলেও নাজির সাহেদুল ইসলাম তা করতে দেননি। পরে টাকা না দেয়ায় নাহিদার নামজারি আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়। এমন নানা অভিযোগে তাকে এসিল্যান্ডকে দুদকে তলব করা হয়েছে।
দুদকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসিল্যান্ডসহ ৭ জনকে তলবের প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি নোটিশের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালের ২৬ মে সীতাকুণ্ড ভূমি অফিস থেকে নথি গায়েবের অভিযোগ তোলেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউআরজিসির রাস্ট্রদূত ও সিনেটর ড. মাশফিক আহমেদ চৌধুরী। ওইসময় তিনি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ওই বছরের ১৬ জুন ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ এর সিনিয়র সহকারী সচিব শাকিলা রহমান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
ঢাকার মতিঝিলের এসিল্যান্ড ফয়জুন্নেছা আক্তারের বেতন কমলো; অনিয়ম ও দূর্নীতিতে
আরও সংবাদ পড়ুন।