রাজধানীতে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে বিক্ষোভ
নগর প্রতিবেদকঃ সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করা ও অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে রাজধানীতে আবারও বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন আন্দোলনকারীরা।
আজ শনিবার ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের’ কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির আয়োজনে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে এই সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশ শেষে পুলিশি পাহারায় বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়। এসময় আন্দোলনকারীরা ‘এক দফা এক দাবি, পঁয়ত্রিশ পঁয়ত্রিশ’ বলে স্লোগান দেন।
এতে সমাপনী বক্তব্য দেন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘আজকের এই শিক্ষার্থী সমাবেশে সারা বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়েছেন। আমাদের আজকের এই শিক্ষার্থী সমবেশ ও পদযাত্রার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের যে যৌক্তিক দাবিগুলো রয়েছে সেগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে তুলে ধরা। এ সময় আন্দোলনকারীদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন আমরা আপনাদের দাবি গুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাব এবং যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরব।
শিক্ষার্থী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব, মোঃ রাসেল, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. সানোয়ারুল হক সনি, সদস্য সচিব, এ আর খোকন-সহ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের অন্যান্য নেতারা।
বক্তারা বলেন, ‘আমরা সবাই এই দেশের সন্তান। সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করার অধিকার আমার আছে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, আগামী নির্বাচনে আমাদেরকে আপনার কাজে লাগবে।
আমরা যদি বলি আমাদের পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দাবি ৩৫ বাস্তবায়ন করে দিয়েছেন তখন কি আমাদের পরিবার আপনাকে ভোট দেবে না? অবশ্যই দেবে। ’
তারা বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির সময় প্রায় সব প্রকার চাকুরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি/পরীক্ষা বন্ধ ছিল। পৃথিবীর অনেক দেশ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর বা তার বেশি থাকার সত্ত্বেও করোনা মহামারির কারণে চাকুরিতে আবেদনের বয়সসীমা আরও ২-৩ বছর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় যুব নীতিতে ১৮-৩৫ বছর বয়সীদের যুবক বলা হলেও ৩০ বছর হলেই তাদেরকে চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ’