সব সেক্টরেই দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে – দুদক সচিব
বিশেষ প্রতিবেদকঃ ‘সব সেক্টরেই দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। আমাদের এনফোর্সমেন্ট টিম ২৪ ঘণ্টাই রেডি থাকে। যে কোনো তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাৎক্ষণিক তথ্য যাচাইয়ের চেষ্টা করি এবং দুর্নীতির শঙ্কা থাকলে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করা হয়।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
দুদক সচিব বলেন, অন্যান্য খাতের মতো সেবা খাতেও আমাদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাচাই করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুদকের অনুসন্ধান, তদন্ত ও অভিযান কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। আরও জোরদার হবে।
তিনি বলেন, আমাদের টোল ফ্রি নাম্বার ১০৬। এই নাম্বারে গত ২০২০ ও ২০২১ সালে ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৭৩টি কল এসেছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৪৯টি অভিযোগ আমলে নিয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ দুর্নীতি করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সচিব বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সালে দুদক ১ হাজার ৫৪টি পত্র বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ও দপ্তরে পাঠিয়েছে। তথ্য সরবরাহের জন্য তাদের সময় দিতে হবে। কমিশন সেসব কার্যক্রম প্রতিনিয়ত মনিটর করছে। আমরা চিঠি দিয়েই চুপ করে বসে রয়েছি- বিষয়টি এমন নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর কাছে যেসব তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছে, সেগুলো তিনি দুদকে জমা দিয়েছেন। কমিশনের কর্মকর্তারা সেসব কাগজপত্র পরীক্ষা করছেন।