জান্নাতে একদিন – সাইফ ইবনে রফিক
পাশে কাওসার কুয়ায় অতল জল—
অথচ ওজু করার তাড়না থাকবে না।
এখানে আজান হয় না কখনও।
নামাজ প্রতিষ্ঠার নামে মসজিদ কমিটি
অথবা কুরবানির নামে মাংস উৎসব—
সব নিষিদ্ধ এইখানে
প্রতিপালকের নিজের বাড়িতে।
কাওসারের জলে
ঠোঁট ভিজিয়ে উড়ে যাওয়া রঙিন পাখিটা
নিশ্চয়ই শহীদ হয়েছিল
পৃথিবীর শেষ ক্রুসেডে।
৭০ হুরের বিশাল জনবল নিয়ে
জলকেলিতে ব্যস্ত ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ
চুরুট এগিয়ে দিয়ে বললেন—
একটু আগুন হবে দাদা!
আমি তখন ভ্যাপের ধোঁয়ায়
এসি রুমে শুয়ে জাহান্নাম দেখছি এলসিডি মনিটরে!
সেখানে জ্বালানি হয়ে পুড়ছেন
পেশ ইমাম। যিনি মক্তবে পড়তে আসা
চুলখোলা আয়শা আক্তারকে
নরক চিনিয়েছিলেন।
আর হাঁপাতে হাঁপাতে তরুণ আল মাহমুদ
এসে বসলেন আমার পাশে।
মুখে বিজয়ের হাসি! বললেন,
‘পুড়তে পুড়তে শেষ পর্যন্ত তোমার মতো
কবি কোটায় ঢুকেই পড়লাম!’
সাইফ ইবনে রফিক
সিনিয়র সাংবাদিক, কবি ও লেখক