শ্যামলীর টিবি হাসপাতালে
ক্রয় ও নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ পেল দুদক
অপরাধ প্রতিবেদকঃ রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে কেনাকাটা ও নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম চলে আসছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম সম্প্রতি তদন্ত করে এ হাসপাতালে কেনাকাটা ও নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে দুদক হাসপাতালের উপপরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অতীতে একটি শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা দেশের আটটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তদন্ত করে। এসব হাসপাতালের পরিচালক থেকে সুইপার পর্যন্ত দায়িত্বরতরা কী ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তার সার্বিক তথ্য তারা খুঁজে বের করেন। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয় পর্যন্তও দুর্নীতির সিন্ডিকেটে কারা জড়িত সেটিও লিখিত আকারে সরকারের কাছে জমা দেয়। কিন্তু জড়িতদের বিরুদ্ধে আজো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ আলোর মুখ দেখেনি। এছাড়া স্বাস্থ্য সেক্টরের দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে অধিকাংশ কর্মকর্তা কাজ করেন। এ কারণে স্বাস্থ্য খাতের মাফিয়া ডন হিসেবে পরিচিত সেই দুর্নীতিবাজরা অব্যাহতি পেয়ে যান। বিতর্কিত ঠিকাদারদের নিরপরাধ প্রমাণে উঠেপড়ে লাগেন একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ এই কর্মকর্তারা ঐ সব ঠিকাদারদের বদৌলতে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, জরুরি চিকিত্সাসেবা ব্যাহত যাতে না হয় সেই কারণে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ওষুধসহ জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী কেনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু অধিকাংশ হাসপাতালে কেনাকাটার নামে হচ্ছে অনিয়ম আর দুর্নীতি।