ভোলার বোরহানউদ্দিনে উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদনের এক দিন পর সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যা ভোলা জেলায় আতশ বাজির মত ছড়িয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মার্চ স্থানীয় সাংসদ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আলী আজম মুকুল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৈয়দ আশিক, মাসুদ রানাসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক বছরের জন্য বোরহানউদ্দিন উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। উপজেলা কমিটিতে নজরুল ইসলামকে সভাপতি, মুজিব উল্লাহ বিশ্বাসকে সাধারণ সম্পাদক ও সুজন মুন্সিকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। আর পৌর কমিটিতে আবদুল্লাহ আল মামুনকে সভাপতি, হাসান আল মুন্নাকে সাধারণ সম্পাদক ও শাকিল সরকারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে প্রাথমিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সোমবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদ আনুষ্ঠানিকভাবে ওই কমিটি অনুমোদন করেন।
স্থানীয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেন, প্রাথমিক কমিটি ঘোষণার পর থেকে ওই কমিটির নেতাদের নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সোমবার কমিটি অনুমোদনের পর ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান, উপজেলা কমিটির এক নেতার বাবা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং দলীয় পদে রয়েছেন। এ ছাড়া আরেক নেতা বঙ্গবন্ধু হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামির নাতি। এ ছাড়া পৌর ছাত্রলীগের কমিটির এক নেতা আগে ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এসব ঘটনা জানতে পেরে সোমবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুটি কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
এসব অভিযোগ সম্পর্কে নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি ২০০৪ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর আগে তিনি পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা কমিটির এক নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। একটি পক্ষ তাঁর পরিবারকে নিয়ে মিথ্যা বদনাম ছড়াচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন। কি নিয়ে মিথ্যা বদলাম ছড়াচ্ছেন এমন প্রশ্নে তিনি নিরব ছিলেন।
মুজিব উল্লাহ বলেন, তাঁর বাবা ওজিউল্লাহ চৌধুরী বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি। তিনি নিজে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামির সঙ্গে তাঁর পরিবারের কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই।
সুজন মুন্সির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদের প্রার্থী ছিলাম। আমার পুরো পরিবার আওয়ামীলিগের জন্য জান জীবন বিলিয়ে দিয়েছে।
Post Views: 165