বোরহানউদ্দিনে আসামি দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি
উপজেলা প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরহানউদ্দিনের বড় মানিকা ইউনিয়নে খোকন সওদাগরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগে মামলার ঘটনায় এখনো আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৭ জুন মঙ্গলবার দুপুরে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন,জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের কে কেন্দ্র করে গত ১৫ই জুন গভীর রাতে সোহান হাওলাদার,আলাউদ্দিন হাওলাদার,শাহজাদা হাওলাদার ও ইকবাল হাওলাদার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী খোকন সওদাগরের বসতঘরের পশ্চিম পাশের পীড়ার ও দক্ষিণ পাশের পীড়ার সিধ কেটে ঘরের প্রবেশ করে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ছেলে হাবিবকে রশি দিয়ে হাত পা ও মুখ বেঁধে ফেলে এরপরে খোকন সওদাগরকে দু পায়ে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে পুড়িয়ে গুরুতর রক্তাক্ত করে তিনি ডাক চিৎকার করলে অভিযুক্তরা ধারালো দা ও চাকু দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে,সেখান থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করে,অবস্থা আরো অবনতি হলে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত খোকন সওদাগরকে ঢাকা একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে,বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছেন।
এ সময় তারা আরো বলেন,অভিযুক্তদের আঘাতের ফলে খোকন সওদাগরের,বাম চোখের উপর ও নিচে,বুকের বাম পাশে ফুসফুস বরাবর শাহাদাত আঙ্গুলের মাঝখানে,ডান হাতের তালুতে ডান হাতের মধ্যমা ও তর্জনি নি আঙ্গুলের লেগে রক্তাক্ত ও হারভাঙ্গা জখম হয়।
এ সময় অভিযুক্তরা খোকন সদাগরের ঘর থেকে নগদ এক লাখ বিশ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের আংটি,একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায় বলেও জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে তারা অভিযুক্তদের ফাসি দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
তারা বলেন,এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় আহত খোকন সওদাগরের বোন তাছনুর বেগম বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও প্রভাবশালী হওয়ায় কারণে অভিযুক্ত আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে,আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান বক্তারা।
তারা বলেন,৫ ই আগস্টের পরে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি কিন্তু এটাই কি স্বাধীনতা,এভাবে সন্ত্রাসী হামলা করা হলো অথচ আমরা অসহায় পরিবার হওয়ায় আসামি গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন আহতের পরিবার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান বলেন,ঘটনা তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।