ভোলা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সাপাতুল ইসলামের অনিয়ম ও দূর্নীতি’র অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি ভোলা জেলায় এর আগেও দায়িত্ব পালন করে গেছেন। দ্বীপ জেলা ভোলায় কি এমন মধু আছে যে, তিনি আবারও সেই মধু খেতে ভোলায় এলেন?
সাগর চৌধুরীঃ ভোলা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সাপাতুল ইসলাম ইসলাম ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী। এক বছরের একটি কোর্স সম্পূর্ণ করে, তিনি ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ে ৯বম গ্রেডের কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন।
ভোলায় এর আগে যোগদান করে, সরকারি বিভিন্ন খাত দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
তখন তাকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেছিলেন, তোফায়েল আহমেদ এর নির্দেশেই তিনি টাকা তুলেছেন। কোন কাজ না করেই তিনি টাকাগুলো নিয়েছেন।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে, ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি যাওয়া পর তার ব্যাচমেট ও বন্ধু ভোলা ক্রীড়া কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেছেন। ফলাফল তিনিও সাপাতুল ইসলামের মত অনিয়ম ও দূর্নীতি’র সাথে জড়িয়ে সরকারের মিথ্যা তথ্য ও মিথ্যা বিল ভাউচার দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এবারও ভোলা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সাপাতুল ইসলাম যোগদান করে পুরনো নিয়মে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিল ভাউচার তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার জন্য সবকিছু রেডি করেছেন।
ভোলা জেলার ক্রীড়া অফিসের জনবল মাত্র ৩জন। তারমধ্যে আবার একজন কর্মকর্তা। একজন অফিস সহকারী। একজন এমএমএস। তিন জনের মধ্যে একজন অফিস সহকারী’র পদটি ফাঁকা দীর্ঘ দিন।
এই মাত্র জন সরকারি চাকুরী জীবির জন্য চারলক্ষ টাকারও বেশী ব্যয় দেখানো হয়েছে। বিল ভাউচারের মাধ্যমে সেই টাকা তোলার জন্য নানারকম ফন্দি ফিকির চলছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে, ভোলা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সাপাতুল ইসলাম বলেন, আপনাকে বলি ক্রীড়া উপদেষ্টা আমার বন্ধু।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহামুদ সজিব ভূইয়া আপনার বন্ধু?
তাহলে আপনার বন্ধু’র সাথে আতাঁত করেই সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করছে আপনি?
ভোলার ডিসি স্যার ভালো মানুষ আপনি চাইলে স্যারের সাথে কথা বলতে পারেন।
এমন কথার উত্তরে এই প্রতিবেদক বলেন, ডিসি স্যারের সাথে আমি আগেই যোগাযোগ করেছি, তিনি বলেছেন কোন অপরাধীর সাথে আমার কোন সম্পর্ক্য নেই। কেউ যদি বলে আমার কথা তা হলে সেই অপরাধীকে পুলিশে দিন।
এই জবাব পেয়ে তিনি চুপ করে থাকেন। ক্ষনকাল পরে এই প্রতিবেদককে বলেন, ভাই চা খেয়ে যান। লঞ্চ করেছেন দুপুরে..?
বিদায় নেয় প্রতিবেদক। জেলা ক্রীড়া অফিস থেকে। রাষ্ট্র তার প্রতিটি কাজের জন্য সাধারণ জনগনের কাছে জবাব দিহি করতে বাধ্য।
এতগুলো সরকারের টাকা বছরের পর বছর ভোলা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেছেন, কেউ কিছু বললো না? এই অপরাধে তার কোন বিচার হলো না?