শেখ হাসিনা’র দোসর অনিয়ম ও দূর্নীতিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেখ সালমা নার্গিস। নিয়োগ পেয়েছেন ঘুষের বিনিময়ে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছে বদলি ও উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে তিনিও মোটা অংকের ঘুষ নেন। ঘুষ না দিলেই বাঁধে বিপত্তি।
অপরাধ প্রতিবেদকঃ শেখ হাসিনা’র দোসর অনিয়ম ও দূর্নীতিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ সালমা নার্গিস। দৌদন্ড-প্রতাপে এন্টিগর্ভমেন্ট কাজ করে যাচ্ছেন। দুর্নীতির চরম আখড়া এই সালমা সাবেক প্রাইমমিনিস্টার শেখ হাসিনাকে টাকা দিয়ে নিয়োগ নিয়েছেন।
এছাড়াও পতিত সরকারের সময়ে “শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না”, গোপালগঞ্জে শাখা গঠন শিরোনাম সামনে রেখে গোপালগঞ্জ এ একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করেন এবং সালমা নার্গিস সেই কমিটির সভাপতি ছিলেন।
একই সাথে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশায় “প্রজন্ম ৭১ নামে একটি সংগঠন তৈরী করে এর সহ-সভাপতিও হয়েছেন তিনি।
পতিত সরকারের সময়ে তিনি জোর কন্ঠে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী তুলে ছিলেন। তাঁর বক্তব্য, “প্রজন্ম ৭১ গঠিত হয়েছিল শহীদ পরিবারগুলোর কল্যাণ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী সামিনে রেখে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আংশিক ভাবে চলমান থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এখনো বাস্তবায়ন হয়নি এবং আমরা সাম্প্রদায়িক উগ্রতার ভয়ঙ্কর চেহারা দেখছি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অর্জনকে ধূলিসাৎ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে দেশে ও বিদেশে। তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শক্তির একটাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন ”
হাসিনা সরকারের দোসর ফ্যাসিস্ট রেজিম প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ সালমা নার্গিস প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে আঁতাত করে অনিয়ম ও দূর্নীতির দোকান খুলে বসেছেন।
জুনিয়র কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে যখন তখন দুর্ব্যবহার করেন। মুখের ভাষা শুনলে মনে হবে কোন এক অজানা বস্তিতে তার জম্ম। আচার আচরণে মনে হবে নিম্মশ্রেনীর বখাটে।
সরব আছে বদলি ও উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে তিনি মোটা অংকের ঘুষ নেন। সবার ওপেন সিক্রেট হলেও সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী তার হাত থেকে মুক্তি চান। তার অন্যায়, অনিয়ম এবং দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ একাধিক।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সালমা নার্গিস
(৯ মে ২০০০) সালের সালের নিয়োগ দেখিয়েছেন। কিন্তু তিনি সাবেক ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বদ্যান্যতায় ২০০৭ সালে চাকুরিতে যোগদান করেন। বিষয়টি তার অফিসিয়াল কাগজপত্র চেক করলেই বেড়িয়ে আসবে।
গত (২৭ জানুয়ারী ২০০০) তারিখের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সালমা নার্গিস (২৯ জুলাই ২০০১) তারিখে পি এস সি কর্তৃক সুপারিশ করার অনুযায়ী কথা থাকলেও অন্যায় এবং দুর্নীতির জন্য পরবর্তী সরকার এ নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করে।
পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট সরকার (১০ জুলাই ২০০৭) সালে পুণরায় তাকে যোগদানের সুযোগ প্রদান করে। সেখানে তিনি মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে নিয়োগ নিয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাজ জানতে চায় যারা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দ্বারা সরাসরি সুবিধাভোগী এবং অন্যায় দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েও সে কী ভাবে এখনো এন্টিগভর্মেন্ট কাজ করেও বহাল তবিয়তে টিকে আছে! তাহলে হাসিনা’র দোসর এখনো কিভাবে বহাল তবিয়তে আছে?
গত সরকারের পট পরিবর্তনের পর প্রকৃত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে রাষ্ট্রের বিভিন্ন দফতর। সততার মুখোশধারী ভয়াবহ দুর্নীতিবাজ ও শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সালমা নার্গিস এখনো নিরাপদেই আছেন। নিরাপদে থেকেই অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছেন।
শুধু নিরাপদেই নয়, দেশের ভিতরে থেকে শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলেও জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে স্মারক নং প্রাগম/প্রশা-১/১৫(৪) নিয়োগ/২০০৬/৭৭৮,তারিখ ১৯অক্টোবর ২০০৬,অ৪ কার্তিক ১৪১৩ এর আলোকে নিয়োগপ্রাপ্ত ১ জন অফিসার ( সুপারিন্টেন্ডেন্ট, পিটিআই) পদে ২০০৬ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত একই পদে হতাশা ও দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন শুধুমাত্র শেখ সালমা নার্গিস এণ্ড গংদের জুলুমের জন্য।
সেই ১১ জন অফিসার হলেন খোন্দকার মো. ইকবাল হোসেন, মো. আজিজুর রহমান, মো. আবুল কাশেম মিয়া,মো. জয়নাল আবেদীন,মোল্যা শহীদুজ্জামান,খাদিজা পারভীন,মোল্যা ফরিদ আহমেদ, মো. রফিকুল ইসলাম, তালুকদার,মো. কামরুজ্জামান, মো. রেজাউল হক,মো. রাইহুল করিম।
৫ আগস্টের পর কয়েকজনের প্রমোশন হলেও চৌকশ অফিসারদের অনেকেই এখনো সেই একই পদে কাজ করছেন শেখ সালমা নার্গিস, তাপস কুমার অধিকারী (ডিপিইও)জেছের আলী (ডিপিইও),মো.নুরুল ইসলাম( ডিপিইও),নিখিল চন্দ্র হালদার( ডিপিইও),অশোক কুমার সমাদ্দার,( ডিপিইও),নাসরিন সুলতানা ( ডিপিইও) মো. আব্দুস সালাম( ডিপিইও) আলেয়া ফেরদৌসী শিখা( ডিপিইও) সিনিয়রিটি নেয়ার জন্য উপরোক্ত অফিসারগণ এখনো বঞ্চিতই আছেন।
উল্লেখ্য শেখ সালমা নার্গিস এন্ড গংদেরকে গ্রেডেশন লিস্টের উপরের দিকে যুক্ত করার জন্য সাবেক প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা নিজেই মন্ত্রণালয়ে টেলিফোনিক নির্দেশ দেন। এর জন্য এই শেখ সালমা নার্গিস এন্ড গং কোটি টাকা ঘুষ প্রদান করে।
মন্ত্রণালয় সেই মতে স্মারক নং প্রাগম / প্রশা -১ জ্যেষ্ঠতা- এডিপিইও / ২০১০-১১৮২, তারিখ ২৪ ডিসেম্বর,২০১৩ অনুযায়ী আদেশ জারী করে। ফলে ২০০৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ১১ জন অফিসার পিছিয়ে পড়ে। প্রমোশন হয় শেখ সালমা নার্গিসদের।
শেখ সালমা নার্গিস ধারণাগত জ্যেষ্ঠতার তারিখ হতে অর্থাৎ ১৩/৯/২০০১ সাল হতে ১২/৯/১০০৫ সাল মোতাবেক সিলেকশন গ্রেড নেন এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালের পে-স্কেল মোতাবেক আবার উচ্চতর গ্রেড নেন। তিনি চাকুরি না করেই সিলেকশন গ্রেড পেলেন। যার স্মারক নং ৩৮.০০১.০১২,০০.০০.০৩০.২০১৩-৩৪ তারিখ ১৯/৭/১০১৭।
অথচ তার অধিনস্ত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের তিনি একই সুবিধা দিতে নারাজ। অধিদপ্তরে তিনি একটি বলয় তৈরি করেন। তাদের কাজই হলো এন্টিগর্ভমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা।