তারেক রহমান সহ আটজন চাঁদাবাজির মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন
বিশেষ প্রতিবেদকঃ ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৭ নভেম্বর) পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ছানাউল্ল্যাহ।
অব্যাহতি পাওয়া অন্যরা হলেন- তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।
এর আগে, গত ৫ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখায় তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ঢাকা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন।
প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। এদিন আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তারেক রহমানসহ আটজনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।
পুলিশের অব্যাহতির সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী ২০০৭ সালের ৩০ জুন দরখাস্ত মারফত মামলার এজাহারে বর্ণিত চাঁদার টাকার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৭ মে তারিখে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য একটি হলফনামা সম্পাদন করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি বিশেষ মহলের চাপে বাধ্য হয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মামলাটি দয়ের করেন। এজাহারভুক্তদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই এবং তিনি মামলা পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৭ সালে মামলার বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজটি দুই ভাগে সম্পন্ন করা হয়। ২০০১ সালে ওই কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার জন্য চেষ্টাকালে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা তাদের পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় কার্যাদেশ পাওয়া যাবে না এবং বাদীর কোম্পানিকে বাংলাদেশের কোথাও কোনো কাজ করতে দেবে না বলে হত্যার হুমকি দেয়। পরে বাদী জীবন রক্ষার্থে চাঁদার টাকা কয়েক কিস্তিতে পরিশোধ করতে রাজি হন। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০০২ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত কয়েক দফায় মোট ৫ কোটি টাকা চাঁদা বাবদ গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বাদীর কোম্পানির প্রধান কার্যালয় থেকে নিয়ে যান। সেতুর দ্বিতীয় দফার কাজের সময় ফের কয়েক দফায় মোট ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সঙ্গীরা জোরপূর্বক আদায় করেন।
পরে বাদীর কোম্পানি মৌলভীবাজার জেলায় ফেঞ্চুগঞ্জে সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ পায়। ওই কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার পর ২০০৪ সালের ৫ নভেম্বর আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সহযোগীরা কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে আসেন এবং ভয় দেখিয়ে কোম্পানির এমডির কাছ থেকে কয়েক দফায় দুই কোটি টাকা নিয়া যান। সবমিলিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার সহযোগীরা নগদ টাকা ও ক্যাশ চেকের মাধ্যমে সর্বমোট ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা আব্দুল মোনেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় থেকে বলপূর্বক আদায় করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
চাঁদাবাজির অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় তারেক রহমানসহ এই আটজনকে আসামি করা হয়।
আরও সংবাদ পড়ুন।
কেউ যেন দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন: তারেক রহমান
আরও সংবাদ পড়ুন।
এই মিছিল স্বাধীনতা ও নিজেদের অধিকার রক্ষার মিছিল – তারেক রহমান
আরও সংবাদ পড়ুন।
৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : তারেক রহমান
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
বিএনপি চারটি মহানগর এবং পাঁচটি জেলায় নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আওয়ামী লীগের দোসরদের দায়িত্বে রেখে সরকারের উদ্যোগ সফল হবে না: তারেক
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
একটি মহল অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতায় রাখতে চায় – মির্জা ফখরুল
আরও সংবাদ পড়ুন।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া – বিএনপির আগামীকাল রোববারের সমাবেশ হচ্ছে না
আরও সংবাদ পড়ুন।
ঐক্য ধরে রাখতে পারলেই ছাত্র-জনতার বিজয় সুসংহত হবে : বিএনপি মহাসচিব
আরও সংবাদ পড়ুন।
৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মসূচি
আরও সংবাদ পড়ুন।
বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতে আসলে ধরে পুলিশে দিন : মির্জা ফখরুল
আরও সংবাদ পড়ুন।
৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মসূচি
আরও সংবাদ পড়ুন।
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের রোডম্যাপ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি: মির্জা ফখরুল
আরও সংবাদ পড়ুন।
কী করতে চান, দ্রুত জনগণের সামনে উপস্থাপন করুন: প্রধান উপদেষ্টাকে ফখরুল
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি পন্থি শিক্ষকদের বিবৃতি
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।